সুবর্ণা !
অনাগত বসন্ত অপেক্ষা করছে আর একদল উচ্ছৃঙ্খল প্রজাপতি উড়ছে হাওয়ায়!
আর আমি আজো রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে আছি, গ্রামের মোঠোপথ ছেড়ে চলে এসেছি অন্ধকার আর আলোর শহরে।

যেখানে ল্যাম্পপোস্ট গুলো আমাকে দেখতে দেখতে অনাকাঙ্ক্ষিত শিশির কণা ঝরায়,
তাদের চোখে মহা ক্রন্দন সদা অশ্রু জল
হে সুবর্ণা আমি আজো অচেনা অজানা
এক রাস্তায় পথিকের দল।

সুবর্ণা!
আমি তোমার পদাঙ্ক অনুসরণ করে
পৃথিবীর কোন এক অজানা প্রান্তরে পৌঁছে গেছি
আর মৃত্যুর মিছিলে যাত্রা করেছি।
নির্জনে সমীর দিবারাত্রি এক অভিশপ্ত শ্রাবণ মেঘের বর্ষা হয়ে তোমার কাব্য রচে,সুবর্ণা একটি নাম যার নিঃশ্বাসে আমার প্রাণ বাঁচে।

সুবর্ণা!
তুমি জানো,একটি বসন্ত আসবে,ফুল ফুটবে
পাখি গাইবে গান,তোমায় স্মরণ করে এই হাজারো ব্যস্ততার ভীড়ে নিঃসঙ্গ একাকী রাস্তার ধারে আমি আজীবন করবো তোমার সন্ধান।

সুবর্ণা!
তুমি জানতে আমি তোমাকে কতটা ভালোবাসি।
তোমাকে পাওয়ার আশায় কতবার যুদ্ধে গিয়েছি
কতবার ধূলিসাৎ হয়েছি,আবার কতবার মানুষ রুপে জন্মে ফিরে এসেছি স্বার্থপর পৃথিবীর বুকে।

সুবর্ণা!
তোমার শহরে চলতে গিয়ে আমার জীবনের
মানে খুঁজতে ভুলে গেছি,রাস্তার ধূলায় মিশে আবার বাতাসের সাথে বৃষ্টির মাঝে কাঁদা হয়েছি।

সুবর্ণা!
তবুও তোমাকে খুঁজে যায় পৃথিবীর প্রতিটা মানুষের ভীড়ে,খুঁজে বেড়াই নগরীর বুক চিরে,
সুবর্ণা তোমাকে খুঁজি রাস্তার ধারে হয়তো আরেক জনমে পাবো ফিরে।

                       ( সমাপ্ত)

রচনা কাল:১৬/০১/২০২০ইং
নিজ বাসভবনে।