হে সমাজ
তোমার বাতায়নে উকি মেরে
আমি শ্বাস রুদ্ধ,থেমে গেছে জীবন
মরণের সাথে করি যুদ্ধ।

কখনো হয়েছি হতাশ চলার পথে,
তবুও ফিরেছি নীড়ে আপন মতে।
তোমার ঐ আলোকিত মুখ,
কাজল কালো চোখ,আর মিষ্টি হাসি,
আমি কত ভালোবাসি।

তবুও কেন হৃদয়ে এতো হাহাকার,
আমার কালো মুখ তোমার জগতে অন্ধকার।

আমি তবু ঐ ঘনিয়ে আসা
কালো অন্ধকারে মিশে রবো,
মিশে রবো তোমার আলোকিত সকালে, যেখানে জল রং হবো,
আমায় কেউ দেখতে পাবে না।

কখনো প্রজাপতি হয়ে রঙ্গিন ডানায়
উকি দিবো তোমার ঐ খোলা জানালায়।

রঙ্গিন সাজে তখন নীল শাড়ি পরে
কাব্যের ভাষা হবে ছন্দের ভোরে।

আমি মরে যাবো‌ আবার আসিবো সন্ধার ঝিঝির ডাকের সাড়ায়,
আমি দুষ্টুমিতে সাড়া জাগাবো তোমার পাড়ায়।

এ জীবন থেমে গেছে সেই তুমি হিনা,
তোমার অন্তরে,
শিরার প্রতিটি কোনে আমি আছি হয়ে দেনা।

সেই সভ্যতার জানালা খুলে
আমি চমকে উঠেছি।
আর তোমার বাতায়ন খুলে
মৃত্যুর পিছে ছুটেছি।

হে সমাজ
তোমাকে দেখে কখনো
হয়ে যায় পাগল,মাতাল কিংবা মুমূর্ষু,
করি কভু যুদ্ধ হয়ে শ্বাসরুদ্ধ।

রচনা : ২৬/০৭/২০১৯ইং
নিজ বাসভবনে।