একটি সকাল আসবে পৃথিবীর বুকে আলো নিয়ে,সাথে আসবে আলোকিত মানুষ একটি বার্তা নিয়ে,সেই বার্তার খামে লেখা থাকবে সহনুভুতির চিঠি,আর আকাশের তাঁরা জ্বলবে মিটিমিটি।

কিন্ত বিধবার ক্রন্দন,অসহায়ের কান্না,নিরীহের নিরবতা
হয়তো কারো আর্তনাদ আহাজারি,
এই পৃথিবীকে ফেলে দিবে গোলক ধাঁধায়-তাই কষ্ট আমারি। জীবনের গতি পথে হয়তো বাঁধা আসবে কেউ থেমে যাবে,কেউ চলবে নিরবধি।

গ্রামের পথ ধরে,নগরকে পার করে শহরের গলি পথে থেমে যাও যদি-সামনে তোমার মরণ সামনে তোমার নদী। সেই নদীতে সাঁতার কেটে পাড়ি দিতে হবে গন্তব্যের দিকে,তোমারি বাসনা তবে অন্তরে একে।

এই পথ,নদী,গ্রাম,নগর কিংবা শহরের অলি গলিতে ডাক হরকারের মতো ছুটে সন্ধান করে কত জীবনের মানে,কতটা জীবন নিয়েছে মরণ কে তা জানে?কত প্রিয়ার একা সজ্জায় অপলক রাত জাগা,কত বিনিদ্রিত আঁখি মায়ের একা থাকা।

কখনো বাবা কাঁদে কিংবা হাঁসে মিটিমিটি,
তাই সন্ধ্যার নবীন তাঁরারা পাঠাই সহনুভুতির চিঠি। কত প্রাণ করে দান পৃথিবীর তরে,
অপেক্ষা বেঁচে থাকে যুগ,যুগ ধরে।

মায়ের সামনে সন্তানের মৃত্যুর যন্ত্রণা-
এহার চাইতে আর নেই বেদনা।
আমাদের দুঃখের কথা জানি কেউ জানবে না,
আমরা অসহায় তা কেউ মানবে না।
আমরা পড়ে রবো দৃষ্টির অন্তরালে-কোন দিন ও পড়বে না কারো খেয়ালে।

আমরাও একটি সকাল চাইবো-যেন হাঁসি মুখে ছুটি,আসবে না আমাদের সুখের দিন,
আমরা দুঃখের তরে ছুটি। আমাদের তরে আকাশের থেকে বার বার ফিরে আসবে একটি সহনুভুতির চিঠি।

রচনা : ২৩/১১/২০১৯ইং
নিজ বাসভবনে।