তখন হয়েছিল সন্ধ্যা,
আর পাখিদের ঝাক ব্যস্ত ছিলো
নিজ নিজ কাজে,
দেখেছি যে কত প্রতিযোগিতার লড়াই
কত যে রঙ্গিন সাজে।
আমি দেখেছি কাহারো নয়নে
সাগরের জল ও ঢেউ,
আমি যাহা দেখি হয়তো তা আজো
দেখেনি কেউ।
আমি দেখেছি বৃদ্ধাশ্রমে
মায়ের আকুতি মিনতি,
দেখেছি বাবার নিরবে কাঁদা সন্তানের প্রতি।
শুনেছি কানে আবেগী মনে
কান্নার কোলাহল,
পেটের ক্ষুধায় চোখে ছিলো তার সাত সাগরের জল।
দেখেছি আমি ডোবা পুকুরের ধারে,
সমাধি ঘর তার ভেঙে আছে কোন ঝড়ে।
আমি তো দেখেছি মায়ের হৃদয়
পাহাড়ের থেকে বড়,
দেখেছি বাবার উদারতা মস্ত, বড়সড়।
শুনেছি মায়ের সন্তান জন্ম দেওয়ার
কালে তাহার নাড়ি ছেড়া চিৎকার,
ধর্ষিতা বোনের কাতরতা চিরো হাহাকার।
দেখেছি বাবার লাশের উপর
সন্তানের হামাগুড়ি,
ভাইয়ের লাশের উপর দিয়ে মাছি উড়াউড়ি।
দেখেছি আমি ডোবা পুকুরের ধারে
আছে কত শত লাশ পড়ে।
আমি তো দেখেছি স্বপ্ন কতো
রাত কেটে হবে ভোর,
আমি যা দেখেছি দেখা হয়নি তোর।
আমি দেখেছি কৃষির ম্লান মুখ,
দেখেছি আমি সন্তান হয়ে মাতা পিতার দুঃখ।
আমি দেখেছি ডোবা পুকুরের ধারে
শত কষ্ট আমায় অতি আপন করে।।
রচনা : ৬/১০/১৯ইং
নিজ বাসভবনে।