নিথর আমার এ দেহ- চারী দিকে মৃত্যুর অপেক্ষা। ক্ষনকালে বিবর্ণ বদন ধারন করার পূর্বের কিছু সময়ের কথা আচমকা মনে পরে যায়-
এখন কি উপায়?
চোখের সামনে জ্বলজ্বলে বৈদ্যুতিক বাতিটাও বুঝি সময়ের স্রোতে ক্ষিন থেকে ক্ষিনতর হয়-
কোন কথা বলোনা, এক ফোটা শব্দও শুনিওনা আমারে।
আমার যে করছে বড্ড ভয়!
গত সময়ের কৃত পাপ-পূন্য ভেবে ভেবে এক নিমেশেই সারাটা জীবনের হিসাব কষা শেষ,
হয়তো কিছু পরেই বিদায় দেব ইহকাল-
চিরতরে হব নিরুদ্দেশ।
আমি নিজেই নিজের কুষ্ঠীতে তিক্ত বিরক্ত হয়ে শেষে নাজেহাল,
সময় যে ফুরিয়ে গেছে হায়-
এখন কি উপায়?
মরনের ক্ষানিক আগে ভাগ্যের হাতে বন্দী এ আমার মুক্তির কি প্রয়োজন ছিল?
ভাবনার আরালে লুকিয়ে গেছে সত্য মিথ্যার শহরের কোলাহল,
এ জীবন আমায় কি দিল?
ক্ষনপরে কবরের পথে এক পা দুই পা করে চল্লিশ কদমেরও বেশি দূরে।
আরবিতে উচ্চারিত বিদায়ী মিছিলে সুরে সুরে।
নিরব নিথর এ দেহে গোপন প্রানের সঞ্চার হবে সবার অলক্ষে আবার,
কেউ দেখবেনা, কেউ জানবেনা আমার অবস্থানের হবে একাকী পরিবর্তন- হয় আলো নাহয় আধার!
মুখ বুঝে সয়ে যেতে হবে দ্বিতীয় মরনের জ্বালা।
অসীম সীমার বেড়াজালে এ মরন।
পাপের পাশ্চিত্ত করে দেবার আরতো নেই কোন সময়,
হয়তো এ জীবন কোন দিনও ফুরাবার নয়।