বিবেক যেন প্রতিবাদী প্রতিচ্ছবি ভুরু কুঁচকে স্মরণি জীবনকাল
আজ কাল বা পরশু এই গড়িমসি করে শিশু, কিশোর যৌবনকাল
পার্থিব মায়াজালে পরকাল ভুলে স্মৃতির পাতাগুলোও ধুলোয় কাতর
জীবনের অনিশ্চিত ভ্রমণে নিষ্প্রয়োজনীয় হাকাওয়াতিতে বিভোর  ।

মনে হয় সময়ের পথ মসৃণ, পথে নেই কোন ঘর্ষণ প্রয়োগকারী বল  
তাই সময়ের কোন স্ম্যান্ডেলের প্রয়োজন নেই যা পথিকের সম্বল
স্ট্র্যাপ কিংবা জুতোর গোড়ালি ছিড়ে গেছে আমার তাই একই স্থানে আবর্তন  
হয়তো বা  আমি কোন লোকাল ট্রেনে কিন্তু সময়ের অতিদ্রুত ভ্রমণ।

স্বপ্ন দেখেছিলাম নিজেকে নিয়ে যাবো মেঘ-পাহাড়ের চূড়োয়
প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম নিজেকে আকাশের শুভ্র মেঘের যাত্রী হবো
ভেবেছিলাম থ্রিডি ক্যামেরায় ছবি তুলে স্মৃতির  অ্যলবাম বাঁধবো
সুন্দরবন, হাওর-বাওড়, সমুদ্র-সৈকতের অস্তমিত সূর্যে মিশে যাবো।

স্বপ্ন দেখেছি নিজের সৎকর্ম যত্রতত্র ছড়াবার ছিটোবার
কষ্টের গায়ে লাল জামা আর বেদনার গায়ে নীল  জামার    
স্বপ্ন দেখেছি স্বাধীন পতাকার ব্যতিব্যস্ত ওড়াউড়িতে যতবার
স্বপ্ন দেখেছি নেতৃত্বে আমার, বাণীতে আমার রৌদ্রজ্জ্বল স্বাধীনতার ।    

প্রতিশ্রুতির চাদরে মোড়া আমি, কিন্তু কী অর্জন আমার?
প্রতিশ্রুতির ভাঙা চালে এ কোন কাল বৈশাখীর ঝড়?
কখন চলে গেলো সময়? এখন প্রতিশ্রুতি দীর্ঘ সময় দুধ গরম করার মতো
যেন গরম দুধে, দুধের ঘন সর চেতনার মণিকোঠায় প্রতিশ্রুতি ঠিকই  আছে
সঙ্গী স্মৃতির শুকনো পাতার ধ্বনি মর্মর।

হে সময়, আমার কি অর্জন একূল বা ওকূলে
নষ্ট জীবন আমার যেন বাধিয়াছিনু গৃহ, ভুলে নদীর কূলে  
পৃথিবীর আয়নায় মুখ রেখে এই বিভ্রান্ত সময়ের পরে
হে পরমেশ্বর করুণা তোমার করুণার হাতে, ক্ষমার দৃষ্টি দাও মোরে।