বাংলার বুক থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে
বুকফাটা গলায় এই খালি এই রিক্সা বলে ডাকছে
উত্তরের পরিবর্তে অনেক স্বরের প্রকাণ্ড হাহাকার
ঠেলাঠেলি জনতার ভীড়ে ভেসে আসছে এই গুলি লাগছে
বাংলার বুক থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে
পিছন থেকে খাকি পোশাকের একদল কুকুর ছুটছে
হ্যালমেট মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ক্ষ্যাপা কুকুর ছুটছে
পিছু পিছু আসছে তাণ্ডব করছে আর লাশের ভিড়ে লাশ
ফেলছে।
আমরা ছিলাম শিক্ষাঙ্গনে অধ্যয়নরত
কোটা সংস্কারে প্রাণচিহ্ন জনপদে আজ গভীর ক্ষত
আদিগন্ত ভোঁ লাগিয়ে কারফিউয়ের সাইরেন বাজা
এখন লক্ষ্য রক্তস্নাত বাংলায় সংস্কার করবো রাজা।
অনেক ত্যাগে উঠে আসে ভোরের রক্তিম সূর্য
রাবার বুলেট টিয়ারগ্যাসের মৃত্যু কত আশ্চর্য
গ্রীষ্মের দুপুরে রোদ-বৃষ্টির খেলায় লাশ বহে ভ্যান গাড়ি
আমার ভাইয়ের রক্তের হিসেব ছাড়া সংলাপ কেমনে করি?
বারবার প্রশ্ন করি কে তুমি সোনাচূড়া?
ক্ষমতার দাপটে করছো লালবর্ণে দেশকে ঘোরা
লুকিয়ে থাকো খাকি বা কালো পোশাকের পিছে
প্রতিবাদী দেখলেই রাজা নাকি গুলির হুকুম দিছে।
ভালো করে দেখি পতকায় আজ রক্ত লালই বেশি
তবে কি? রাতের আঁধারে রক্তলালে সবুজ রং গেছে মুছি
তিয়েন-আন-মেন যেন রাজু ভাস্কর কিন্তু ছাত্রসমাজ দুস্কর
দুমড়ে-মুচড়ে দখলমুক্ত করবে তারা কারণ আঠারো বছর।
পুরনো চক্রে দমাবে মোদের পড়ে মুকুট-মালা
সে চক্র ভেঙে ছাত্রসমাজ মেটাবে শত জ্বালা
ঘুরে দাঁড়িয়েছে আজ ছাত্র-জনতা যেন অপূর্ব বিকেল নামছে
পুত্রহারা মার শোকের কান্না যেন নরম রোদ্দুর হয়ে ঝরছে।