তুমিহীন হৃদয়ে কেবল
শান্ত-অশান্ত বারিধারায়
গভীর অরণ্যের গহীন তমসা।
তাই, তোমাকে খুঁজে ফিরি
পূর্ণিমার জোৎস্নালোকে
বৃক্ষের মৃদু সমীরণে
ক্লান্ত-পিপাসার্ত পথিকের স্বস্তিতে
কখনো বা গ্রীষ্মের দাবদাহে শীতল জলসত্রে।
খুঁজে ফিরি
কনকনে শীতে চরম আতঙ্কের উষ্ণ আলিঙ্গনে
ভোরের মনোমুগ্ধকর হাসনাহেনা, চন্দ্রমল্লিকায়
কখনও রাতের রজনীগন্ধায়
আবার কখনো ঝরে পড়া শিউলিতে।
খুঁজে ফিরি
হের চঞ্চল দুরন্ত গগনে ঘন-কালো মেঘে
নভস্তলে অশান্ত বিমূর্ত পবনে
খুঁজি বিষন্ন হাওয়ার ফ্যাকাশে উদ্বেগে
বিক্ষুব্ধ বাঁকা বিদ্যুতের নবীনা বর্ষাতে ।
খুঁজে ফিরি
শনশন পবনে গগন ভরিয়া
সাগর পাহাড় মর্ত্য জুড়িয়া
বজ্রচেরা মেঘের সিঁদুরে
কাঁপা জলে আধফোটা কদমের বিভোরে ।
তুমিহীন বুকে মোর
হঠাৎ আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়া
বঙ্গোপসাগরীয় কুগ্রহ হাওয়ার মত্ত উল্লাস
কালবৈশাখী ঝড়ে মোর শোণিত সর্বনাশ।
তুমিহীন বুকে মোর
তপ্ত মরুর বালিরাশি
তোমাতে যেন
সাহারার বুকে স্নিগ্ধ শীতল হাসি।
আমার কাছে তুমি যেন
অম্বর মাঝে গুড়গুড় শিঞ্জন
গ্রীষ্মের ব্যাকুলতায় বর্ষার আগমন।