ধুধু-মরু সাহারার আগুন প্রান্তরে,
কেটেছে একাকী।  
তাই সপ্ত সমুদ্রের জল সেঁচেও,  
মেলেনি এক বিন্দু স্বস্তি।  
মেলাতে পারিনি,
নৈঃশব্দ ক্রন্দনে অতৃপ্ত আত্মার মুক্তি।
নিজের অজান্তে অভয়ারণ্য হারিয়ে,
মেলেনি স্বতন্ত্র সত্তা।
দিকভ্রান্ত হরিণ শাবকের ন্যায় খুঁজছি,
শুধু বিষাদের বৃক্ষছায়া।
স্বরুপে সূর্যাস্তের মেঘে,
কেন আজ আমি প্রাণহীন পাথর?
গাত্রদাহে পাহাড়ের পাদদেশে,
সান্ত্বনার প্রলেপ মেখেছি নিরন্তর।
দেখেছি আমি, লোলুপ স্বপ্নরা খুবলে খেয়েছে
জীর্ণ পাঁজরের হৃদপিন্ড।
ক্ষয়িষ্ণু জীবনে পাপের প্রাসাদে দু’চোখ ভরে দেখেছি
সভ্যতার রুপান্তর।
যেখানে, স্বর্নিমিত শবাধারে
মননের মুক্তপাঠ দীর্ঘদিন সংকোচে আবর্তিত।