জনতার হাজারো অস্থির উপবাস রাত্রি কাটে
অথচ, পেটে তাদের লোভ-লালসার  ক্ষুধা
মজুরের শরীরের সক্রিয় গ্ৰন্থিগুলো পরিশ্রমের বর্ণে বিবর্ণ
অথচ, তাদের মুখেতে মুখোশ পরা,পরিবর্তন শুরু হয়নি এখোনো
শুরু হয়েছে, বাজারের সিন্ডিকেটে নিশুতি রাতে
স্তূপীকৃত গরীব-দুঃখীর লাশ সমাধী দেওয়া যায় যাতে।
স্বাধীন বাংলায় পরাধীন আজ বাংলার জনতা
অথচ বুক চিতিয়ে তাদের উন্মত্ত ক্ষমতার দাম্ভিকতা !  


কি ভয়ঙ্কর নির্দয় তারা
যেখানে জনতা জীবন যাপনে দিশেহারা,
যেখানে জনতার হৃদয়ে গোপন কাটাছেঁড়া!
অথচ সাধারণের দুঃখ গচ্ছিত রেখে করস্পুটে চলে তারা
সমাজের কি রঙ? এ যেন মৃতদেহ মাড়িয়ে তাদের সদর্পে চলা
কোথায় আজ জনতার অধিকার?
স্বাধীন বাংলায় পরাধীন আজ বাংলার জনতা
যেন জনতার হৃদয়ের রক্তক্ষরণে হাসে শাসকের দাম্ভিকতা

আমলাতআন্ত্রিক ক্ষমতার মূলে কি গ্রন্থগত স্বাধীনতা?  
যেন নীতির নামে শুধু দুর্নীতির ঝলকানিতে বর্ধিষ্ণু অস্থিরতা  
সুশাসন যেন নিখোঁজ সংবাদ বাক স্বাধীনতার মুখে তালা
জীবন বাঁচানোর তাগিদে, মানা  আছে অধিকার নিয়েও বলা  
ভয়ে ভয়ে বেঁচে থাকি আর বুকে পুষি চাপা কান্না
নীতি গেছে নির্বাসনে স্থিমিত সভ্যতার নাড়ির টানে,
বারুদের গন্ধ মাখা স্বাধীনতা যেন জনতার জীর্ণ বসন্ত আনে  
দর্পণে আজ বঞ্চিত জনতার দীর্ঘশ্বাস মুখ দেখার পরিবর্তনে ।