আমি নব্বই দশকের মানুষ
ধর্ষণ সম্পর্কে তেমন কিছুই জানতাম না
দু-একটা অবৈধ সম্পর্ক  হতো হয়তো
কিন্তু  প্রকাশ পেতনা।

প্রকাশ পেলে মোড়ল মাতাব্বররা
শালিশ-বিচারে রাখতো কঠিন নজীর
ধর্ষণ হতো পাশ্চাত্য দেশ সমুহে
কিভাবে এদেশে হলো হাজির?    

ধর্ষণ হলো অনুমতি ব্যতিরেকে যৌন সঙ্গম
যা পাশ্চাত্যেরই সৃষ্টি
ধর্ষণ আসে পাশ্চাত্যের কোল ঘেষে
উপেক্ষা করে বাঙ্গালী কালচার-কৃষ্টি।

স্মার্ট ফোন নামক বিষবাষ্পটি
সন্তানের হাতে দিচ্ছি উঠিয়ে
অজান্তেই দু-চারটা অশ্লীল ছবির আগমন
থামাবে তা কি দিয়ে?

টিকটক বা রিলসের উপভোগে
কিশোরের মস্তিস্ক বিকৃত হচ্ছে অবিরাম
বিকৃত হচ্ছে সমাজ ব্যবস্থা
চুকাতেই হবে দাম।

দাড়ি মোচের আলামত নেই
তারা ইভটিজিং করছে, দিচ্ছে  কত খিস্তি
হাতের স্মার্ট ফোনে নীল ছবি
রাস্তায়-মোড়ে দাঁড়ানো এখন তাদের হবি।

শিক্ষক, বুড়ো-নতুন প্রজন্ম কিংবা মসজিদের ইমাম
গড়েছে ধর্ষনের অভায়রণ্য
ধর্ষণ, গণ-ধর্ষণ খবরের শিরোনাম
ছিঃ কি জঘন্য! কি জঘন্য!

অপরাধী জানে আইনের ফাঁক যত
তাই ধর্ষণ-ইভটিজিং হচ্ছে  অবিরত
স্বাধীন দেশে মা-বোন কেন হচ্ছে ধর্ষিত?  
স্বাধীন হয়েও পরাধীন মোরা জাতি আজ কলংকিত।

লাখো মা-বোন ধর্ষিত হয়ে দেশ করেছে স্বাধীন
আবারও কি হতে ধর্ষিত?
ধর্ষনের বিচারে হয় না যেন কালক্ষেপণ
মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত হোক অপরাধী যে জন।