বিবেকের তাড়নায় বিষাণ চিত্তের করুণ সুর
আঁখি যুগলে বিষাদময় মুহূর্ত দৃশ্যমান মনে পড়ে যতদূর
করেছি যত অন্যায় অগোছালো পরাজিত বিবেকহীন চিত্তে
নিজেকে বড্ড অপরাধী অনুভূত হচ্ছে এই মুহূর্তে ।

স্বার্থপর হৃদয়হীন মনুষ আমি  স্মৃতিতে ক্ষতবিক্ষত
বিবেক প্রতিনিয়ত প্রশ্ন করছে তাই বিবেকের তাড়নায় আমি দগ্ধ
উত্তর দিতে পারিনি বলে লজ্জিত আমার ব্যক্তিসত্ত্বা
এখন সহজ প্রশ্নটাও কঠিন লাগে যেন লোপ পেয়েছে বুদ্ধিমত্তা।

এখন যেন আমি  রূপান্তরিত জীবাশ্ম জ্বালানি
বারুদময় অতীত স্মৃতি যেন এক নিদারুণ অন্তর দহনি
যদি ভুলগুলো শোধরানোর থাকতো কোন নিয়ম নীতি
তবে প্রত্যাবর্তনের দ্বার খুলে মুছে দিতাম নষ্ট যত স্মৃতি
তার তো আর উপায় নেই,তাই হাস্যকর এই চিন্তা ধারায় নিজেই ভীষণ ক্ষুব্ধ
ইশ! যদি সন্ধ্যা প্রদীপের মতো জীবনের গ্লানি মুছে হতে পারতাম শুদ্ধ!


আবার যদি মায়ের কাছে বকা শুনে ভেঙে পড়তাম কান্নায়
বোকা হয়েই থাকতাম আমি, কোন বিষান নয়, নয় কোন অন্যায়  
একটা সময় ভুল ছিল যদি তার সমাপ্তি হতো বাকিজীবনের জন্য
জীবনের মানে খুঁজে পেতাম দ্বিধায় পরে জীবনের হিসাব হতো কি শূন্য?
হিসাব না পেরে আকাশ পানে প্রশ্ন করি সূচনা হবে কি নবদিগন্তের?
নিরাশার মাঝে আশার প্রদীপ হবে কি প্রজ্জ্বলিত? নাকি অপেক্ষা অনন্তের?


জীবন যে নাট্যমঞ্চ! ফেলে আসা দিনগুলি কাঁটা হয়ে বিঁধে প্রাণে
প্রতিনিয়ত চলছে অভিনয়, যেন তীর ভাঙ্গা নদীর স্রোতের টানে    
এই নাট্যমঞ্চে জীবন চরিত্র বয়ে আনে জয় কিংবা পরাজয়
তবুও হাঁটতে যেয়ে হোঁচট খাওয়া বিজয়েরই প্রস্তুতি তাতে কিসের ভয়?  
শত বন্ধুর পথ পেরিয়ে বেঁচে থাকাই যেন প্রকৃত বাঁচা  
বলতে দ্বিধা নেই ভাগ্যবান মানুষ আমি, চলি দূর করে হতাশা।