মেঘবনে আধো মুখো এই চাঁদনী রাতের
ম্লান করে দেওয়া অনবদ্য দৃশ্য-আজ বড় ভালো লাগে ।
ভালো লাগে তার আলোক ছাটা ঐ কুড়ে ঘড়টার মাঝে থাকলে ।
ভালো লাগে একা একা পথ হাঁটতে;
রূপোলী চাঁদের আলোয় নিজের প্রতিচ্ছবি পাশে থাকলে ।
এই অঘ্রানে,
শীতের ছোঁয়া পেয়ে যেন আজ আমিও জর্জরিত-
দূরন্ত ঐ বিড়ালের মত।
গা শিহরে উঠে:
চকচকে এই সফেদ রাতে আকাশে উড়ন্ত-
বাদুড়ের খেলা দেখতে ।
তবুও ভাল লাগে!
ভালো লাগে এই চাঁদনী রাতে-
নাম না জানা ফুলের ভেসে আসা ঘ্রাণে নিজেকে ভাসাতে ।
ভালো লাগে এই চাঁদনী রাতে:
নিস্তবদ্ধ ঘুমন্ত পাড়ায় সারারাত জেগে জেগে- থরথরে কাঁপতে কাঁপতে
রঙ্গিন পৃষ্ঠায় একখানা অপূর্ব প্রেমকাব্য লিখতে ।
এই চাঁদনী রাতে শিশির জলে ভেজানো ঘাসে
পা দুখানি দিয়ে স্পর্শ করতে
আজ বড় ভালো লাগে ।
ভালো লাগে,
সফেদ রাতে পেঁচার নিভূত গান শুনতে।
ইচ্ছে হয় যেন আজ এই রাতে
তোমার কোমল হাতদুটি ধরে-মহাসড়ক বেয়ে বেয়ে
হিমু হয়ে হাঁটি দূর থেকে দূরে
অজানার খোঁজে ।
তবুও এ কল্পনার কথা ভাবতে
এই চাঁদনীতে রাতে ভালো লাগে ।