বয়সটি কেবল দশ ছাড়িয়ে গেছে,
মা-মরা রবি হয়তো মরিয়াও বাঁচি আছে।
বাবার অশেষ আদরে আজো নিঃশ্বাস ছাড়ছে,
হাসপাতালের বেডে বিশ্রিত রুমে।।
কখনো কখনো রবির নিবু নিবু প্রদীপ ঘুড়িয়া জ্বলে,
এতে,বাবারও মনটা একলা কাদিয়া দোলে ।
ছেলের কষ্টের প্রভাব দেখিয়া দেখিয়া হায়!
বাপ যে,ছেলের আয়ু গুনায়।।
মাঝে মাঝে কঠিন শিহরে বলিছে বাপকে,
আমি কী কোন দিনও ভাল হবনা এই অসুখে?
বাবা বলছে,'বাবারে'হবি হবি কাল-পরশু যাব বাড়িতে।
কত আর শান্তনা দেবে ভাবছে বাবা অন্তরে-মনেতে।।
আবার কখনো কখনো বলছে রবি,দীপার সাথে কতদিন খেলিনি।
এইবার হারাব ওকে, আগের খেলায় হারাতে পারিনি।।
শোন বাবা,আমার জন্যে কিন্তু মিষ্টি কিনিও অনেক গেলে,
আবার দুধও বসাইও আজকে,কালকে দই খাব বাড়িতে গেলে।
কত দিন খাই নি তোমার খাবার,
আজ খেতে বরই স্বাদ জাগছে আমার।
বাবা কেবল,বেডের পাশে রবির মুখের দিকে চেয়ে দেখে,
ছেলের ভাসা ভাসা কথা যেন দিচ্ছে মন ভরে।
কিন্তু কী করিবে আর,
আজো এই রোগের জন্য এখনও হয়নি ঔষুধ আনার।।
ঘড়ের পাখিটি যেন ছট-ফট করছে বাইরে যাবার।।
গরীবের কারনে,আজি হতাশারমুখী মালা,
বাবারও এ দুঃখে,কষ্টে বাড়িছে ভীষন জ্বালা ।
বিঃদ্রঃ আশা করছি কাহিনীটি ভাল করে।।মন্তব্যের মুখী হবেন।। কাহিনী খুব গরীবের