মুখোশ কি সুরক্ষা না ছদ্মবেশ?
বিনোদনেও হয় কি মুখোশ পরিধান?
একেকটা অদৃশ্য মুখোশে নিজেকে ঢেকে
প্রতিমূহুর্তে মানুষ করে স্বাভাবিক জীবন যাপন।
মুখোশের চাপে হারায় স্বকীয়তা!
কৃত্রিম মুখ বা মুখাবরণ আসল নয়;
সবই নকল, নয় তা প্রকৃত রূপ!
মুখোশটাকে দেখি বলেই-
মুখ ঢেকে যায় মুখোশের অন্তরালে।
মুখ তার একান্তই নিজস্ব সত্তা।
মুখোশ হল সার্বজনীন।
মুখোশে মুখোশে ছেয়ে গেছে গোটা পৃথিবী।
চারিপাশে মানুষের মুখ দেখি না;
দেখি শুধু মুখোশ।
এ যেন বিভৎস চেহারার মসৃন আবরন!
সেই চেহারা দেখে আমার খুব ভয় হয়!
বড় আজব এই মুখোশপরা মানুষগুলো।
মোসাহেবী করতে তাদের কোন জুড়ি নেই।
এরা মুখোশ মানুষ নাকি গিরগিটি?
সেই অনাদিকাল থেকে মানুষ নিজেকে
মুখোশের অন্তরালে লুকিয়ে রাখতে পারদর্শী।
আসল চেহারাকে লুকিয়ে রাখে বলেই
মুখোশটাকে দেখা যায় বেশী।
এই মানুষগুলো যতোদিন বেঁচে থাকে,
প্রতিনিয়ত অভিনয়ে লিপ্ত থাকে।
পুরো জীবনটাই একটা বিরাট রঙ্গমঞ্চ!
এই অভিনয়ের শেষ নেই।
স্বার্থ এমনই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে!
স্বার্থ ফুরালেই সব শেষ।
মুখোশটা ঠিক তখনই উন্মোচন হয়।
মুখ ও মুখোশ কখনো এক হতে পারেনা।
তাই মুখোশের আড়ালে থেকে যায় কিছু চেনা মুখ।
প্রিয় চেনা মুখগুলোর আচরণ সবসময় রহস্যময়।
মুখোশ আবার সবাই পড়তে পারেনা।
যারা পড়তে পারে তারা অভিনয়ে হয় অত্যন্ত সুনিপুন।
কখনো রোদের ঝলকানি কখনো নিকষ কালো মেঘ।
মুখোশের ভয়ে ইদানিং স্বাভাবিক চলাফেরা হয়না।
তাইতো নির্জনে চলে গেছি আমি, একদম নির্জনে!
নির্জনে থাকি নিজের সাথে, একা এক ঘরে।
ধীরে ধীরে নির্জনতাপ্রিয় মানুষে রূপান্তরিত হচ্ছি!
ক্রিম,পাউডার আর লোশন মেখে
বর্হিত্বক ফর্সা করা যায় অনায়াসেই,
কিংবা নিরন্তর চেষ্টা থাকে অব্যাহত!
কিন্তু অন্তরের যে কালো দাগ লেগে থাকে মুখে
তা কিভাবে দূর হবে? মুখোশে?