নাম শুনে হই বড় নদী বন্দর ভৈরব,
মেঘনার কুল ঘেষে বেপারীদের কলরব!
দূর থেকে আসে ওরা কত নৌকা বেয়ে,
মেঘনাপাড়ে দিনেরাতে ঘাট থাকে ছেয়ে।
কত ঘাট-জনপদ গঞ্জ কিংবা বাজারে,
নিশিথে নোঙর ফেলে নদীপাড়ে মাজারে।
কাকডাকা ভোরে মাঝি-মাল্লারা সরব,
নেই তাদের পুজা-ঈদ নেই পৌষ পরব!
অগনিত রাত-দিন শুধুই ছুটে চলা,
ক্ষুধা পেটে ভাত হয় কভু মুড়ি-কলা!
বড় নদী পাড়ি দিয়ে শাখাতে প্রবেশ.
ছুটে চলা এইভাবে নেই কোন ক্লেশ!
তেল রাখা টিন কেটে বানানো চুলায়,
পাটখড়ি-চেলাকাঠে রান্নাটা কুলায়!
চায়ের কেটলি আর থাকে মুড়ির মোয়া,
মাঝিরা রাঁধূনি সাজে নেই কাজের বুয়া!
থাকে তামাক গড়গড়ি, পান-সুপারি,চুন,
সেইসাথে শিল-নোড়া, মরিচ, পিঁযাজ, নুন!
ক্ষেতের ফসল ভরে বিক্রি করবে ভৈরবে!
সেই টাকায় কিনে মাল ব্যবসা হবে গৌরবে!
মাল বোঝাই শেষে তারা নদীবন্দর ছেড়ে,
ফিরে যাবে ঘরে যেন কতকাল পরে!
কত গল্প ঘটনা হবে যে নতুন করে,
এবাড়ি ওবাড়ি ঘুরে বলা হবে অবসরে!
----১৭ সেপ্টেম্বর,২০২৪ সিলেট।