সাইমান আকতার দুই দাঁতে ফাঁক তার
খেলে কিছু যায় ফাঁকে বেরিয়ে,
কথা বলে অবিরাম যদি বলি এবার থাম
হাতে লাঠি নিয়ে আসে তেড়িয়ে।
ইয়া বড় ভূঁড়ি তার নাই যার জুড়িদার
তিনবেলা অতিভোজে পাকা সে,
গাল ভরে জর্দ্দা পান বিড়ি ধরে মারে টান
বিরক্তিতে মুখ থাকে ফ্যাকাশে!
পেলে কোথাও নেমতন্ন খুশিতে হয় মতিচ্ছন্ন
অনাহারে থাকে আরো দু’দিন!
তারপর ভূঁড়িটারে তেল মেখে চাঁটি মারে
ক্ষুধায় তার পেটে করে চিনচিন।
বাড়িতে এলে তার নাহি কারো নিস্তার
নানা কাজে দেয় তারে লাগিয়ে,
বাসি ভাত-তরকারি যত কাজ দরকারি
মজুরী যা দেয় তারে ঠকিয়ে!
ছিল নাম ডাক তার পৈতৃক জমিদার
কৃপণতায় নাহি জুড়ি তবুও,
প্রয়োজন যদি পড়ে হাজারো দরকারে
বেঁচবে না জমি তার কভুও।
আকতার সাইমান হাতে খোলা আসমান
নামে তার থরথরি কম্প,
পরিবারের লোক সব যতসব কলরব
পালাতে যে করে লম্ফ-ঝম্প।
একদা রাত্রিকাল ঘটিল যে জঞ্জাল
ঘর ছেড়ে চলে যায় বৌটা,
হাতকড়া দিয়ে হাতে নিয়ে যায় থানাতে
তারিখটা আষাঢ়ের চৌঠা।