কৃষ্ণ বলে- ‘রাধা আমায়, বাঁধ বাহুডোরে।’
আর রাধা বলে, ‘কেন কৃষ্ণ আছ ব্রজপুরে?
-রাধা নয় তো দূরে!’
কৃষ্ণ বলে- ‘শোন রাধে, তোমার বেণী ধরি।’
আর রাধা বলে, ‘আমি তোমার প্রেমের জ¦ালায় মরি,
- প্রেমের ভূবনও গড়ি!’
কৃষ্ণ বলে- ‘তুমি হলে, আমার মোহন বেনু।’
আর রাধা বলে, ‘বাঁশির সুরে পাগল ব্রজের ধেনু,
-তুমি রাধারও কানু!’
কৃষ্ণ বলে- ‘যাইও রাধা, যমুনারও জলে।’
আর রাধা বলে, ‘যাবে তুমি ছান করিবার ছলে,
-রাধা পড়িবে ঢলে!’
কৃষ্ণ বলে- ‘কদম তলে, বাজাই মোহন বাঁশি।’
আর রাধা বলে, ‘সুর শুনিয়া হই যে উদাসী,
-তাইতো ছুটে আসি!’
কৃষ্ণ বলে- ‘রাধা আমার রূপে শশধর।’
আর রাধা বলে, ‘তুমি কৃষ্ণ তাইত মুরলীধর?
-রাধা ছেড়ে আসে ঘর!’
কৃষ্ণ বলে- ‘ভ্রমে রাধা এই নিকুঞ্জবন।’
আর রাধা বলে, ‘তুমি কৃষ্ণ ব্রজেরও মোহন!
-তুমি নন্দের নন্দন!’
কৃষ্ণ বলে- ‘রাধা তোমার দেহ স্বর্ণলতা।’
আর রাধা বলে, ‘এ যে তোমার শুধুই মিষ্টিকথা!
-মনে লাগে বড় ব্যথা!’
কৃষ্ণ বলে- ‘শোন রাধা, আমি হলেম কালো।’
আর রাধা বলে, ‘তোমার রূপে ভুবন হয় যে আলো!
-রূপের সুধা ঢালো!’