পতিব্রতা রমনীর কথা
শুনেছি এতকাল,
পত্নীব্রত পতির তবে
শুনুন হালচাল।
পত্নীর কথায় ওঠে বসে
পত্নীর কথায় হাসে,
পত্নীর দুঃখে দুঃখী হয়
নয়ন জলে ভাসে।
পত্নীর ইশারা ছাড়া
নড়েনা এক চুল,
আদেশ পালনে কভু
করেনা তো ভুল।
সময় মত অফিসে যায়
সন্ধ্যার আগে ফেরে,
বাইরে কোথাও যায় না সে
স্ত্রীসঙ্গ ছেড়ে।
ঘরের সব কাজ করে
যেন কাজের বোয়া,
কাপড় কাছা, ঘর মোছা
থালাবাসন ধোয়া।
বউটি তার হাটে গিয়ে
দর-দাম করে,
পেছন পেছন গিয়ে স্বামী
ব্যাগটা মেলে ধরে।
রোজগার যা করেন তিনি
স্ত্রীকে তুলে দেন,
নিজের জন্য লাগলে কিছু
পরে চেয়ে নেন।
মুঠোয় জগৎ, অসীম সাহস
বড় বুকের পাটা,
ভয়ে কাতর, দেখে যখন
গিন্নীর হাতে ঝাঁটা।
চারহাত যখন এক হল
গাঁটছড়ার দিনে,
সেদিন হতে বউটি নিল
স্বামীর মাথা কিনে।
ভালো-অর্ধেক পত্নী হলে
মন্দ-অর্ধেক স্বামী,
পত্নীব্রত পতি এখন
সবার চেয়ে দামী।
পতিব্রতা রমনীর যেমন
জুড়ি মেলা ভার,
পত্নীব্রত পুরুষ তেমন
হাজারে হাজার।
স্ত্রীর কাজে সহায়তা
করেন যেই পতি,
মরার পরে হয় তার
আত্মার সদ্গতি।
এ জগতে অনেক আছে
পতিব্রতা সতী,
‘স্ত্রৈণ’ যিনি, তিনিই হলেন
পত্নীব্রত পতি!