আজ রাতে বিয়ে,
কনের সাজে টিয়ে।
বিয়ের যত গয়না
সব এনেছে ময়না।
চেয়ারে বসে শালিক,
বিয়ে বাড়ির মালিক।
ব্যান্ডদলের সাদা বক
নাচে গানে শোনায় রক।
গানের সাথে বাজে ঢাক,
ঢাক বাজায় দাঁড়কাক।
গাইতে এল মাছরাঙা,
মন্দ নয়তো স্বর ভাঙা।
ছোট্ট পাখি চন্দনা,
গান গায় মন্দ না।
বিছিয়ে এক মাদুর,
ঘুমিয়ে আছে বাদুড়।
লজ্জায় লাল শকুন,
মাথা ভরতি উকুন।
পা ভেঙ্গে হ’ল খোঁড়া
এল না তাই পাখি কোঁড়া।
ছোট্ট পাখি টুনটুনি,
দু’হাতে তার ঝুনঝুনি।
এসেছে ঐ পাখি শ্যামা,
গায়ে দিয়ে কালো জামা।
নাচে ময়ূর পেখম তুলে,
রাজহাঁস ভাসে জলে।
খাচ্ছে দোল কাকাতুয়া,
নাচ তার হৃদয় ছোঁয়া।
চোখে চশমা, হাতে বই
এসেছেন শিল্পী বাবুই।
সেজে-গুজে লক্ষ্ণীপেঁচা,
দুঃখ তার নাকটি বোঁচা।
ঢোল কাধে ঐ যে ঢুলি
ঢোল বাজায় বুলবুলি।
শিষ দিচ্ছে দোয়েল,
তার সাথে কোয়েল।
বসে আছে পাখি বাজ,
নেই কাজ, ফাঁকিবাজ।
কোকিল গেছে ছাতক,
সঙ্গে ধনেশ, চাতক।
কাঠঠোকরা ব্যস্ত বড়ই,
বর আনতে গেছে চড়ুই।
এসো টিয়ে,‘কুঞ্জে লও’
বলল এসে বউ কথা কও।
ঐ যে দেখ আসছে বর,
টোপর মাথায় কবুতর।