ভাবি মনে হতেম যদি মস্ত বড় কবি,
লিখতে বসে এলোমেলো গুলিয়ে যায় সবি!
চরণ শেষের একটি শব্দ যদি হত ‘কবিতা,’
অন্তমিল করতে গিয়ে লিখব আমি ‘ববিতা!’
কখনো আবার ভাবি মনে বড় মাপের নেতা!
আমায় সবে বাসবে ভালো হবে ভোটে জেতা!
মঞ্চে ওঠে মাইক পেলে গলা শুকিয়ে কাঠ,
আপাতত হচ্ছে না তাই ছেড়ে দিই সে পাঠ!
আবার ভাবি মধুর সুরে বাজাই বাঁশের বাঁশি!
বাঁশির ফুঁটোয় মুখ লাগাতেই ওঠে ভীষণ কাশি!
রাখাল হয়ে গাছের ছায়ে বাজবে না মোর বেনু,
বেসুর শুনে রেগেমেগে তেড়ে আসবে ধেনু!
গায়ক হবার স্বপ্নে যখন গাই গলা ছাড়ি!
পাড়াসুদ্ধ পড়শীরা সব পালায় ছেড়ে বাড়ি।
দিনে নয় গীত রচিতে রাতের বেলা ভাবব,
অশ্রাব্য হয় সকল কথা হয় না তাহা কাব্য!
হব বুঝি জাদুকর ঈন্দ্রজালের শক্তি পাব,
শিখি যখন ভাঙ্গি তখন একটু তবে ভাব!
ডুগডুগিটার শব্দ শুনে আসে ক্রমে ক্রমে,
পরাণ কাঁপে দেখি যখন ময়দানে লোক জমে!