বুড়ো বয়সেও বাচ্চা সে নাম যার ‘আবু’,
ফিটফাট থাকেনা যে নাম তার ‘বাবু’।
ঝগড়াটে মেয়েটির বাঁজখাই গলা,
বেসুরো হলেও তারে ডাকে যে ‘কোকিলা’।
টেঁকো মাথায় বিন্দুমাত্র নাই যার কেশ,
জিজ্ঞাসায় জানা যায় নাম তার ‘সুকেশ’।
সংসারে হরদম লেগে আছে অভাব,
সংসারের কর্তাটির নাম হল ‘নবাব’।
বয়স বেড়ে প্রৌঢ় হয় রবিনের চাচ্চু,
পাড়ার সবাই জানে নাম তার ‘বাচ্চু’।
বস্তির বখাটে ছেলে বড় হারামজাদা,
বাপে চালায় ঠেলাগাড়ি সে ‘শাহাজাদা’।
‘সুবোধ’ চতুর নয় আসলে সে বোকা,
সমাজে সে থেকে যায় আজীবন ‘খোকা’।
ঠিকমত যে মেয়েটি চোখে দেখতে পায়না,
বাড়ির সবাই তাকে ডাকে ‘সুনয়না’।
ঠাঁটবাট দেখে যারে বলি ‘সলিমুল্লাহ,
টাকার পাহাড় গড়ে নাম ‘গরীবুল্লাহ’।
ধবধবে ফর্সা তিনি নাম ‘কালাচাঁন’,
শুনে ভাল লাগে কি হেড়েগলার গান?
‘মধু’র মুখে নাই মধু কখন কি যে কন!
বড় হয় না কোনদিন মোদের ‘খোকন’।
‘বাদশা’য় ভিক্ষা করে বসে ফুটপাতে,
ছোট্ট বেবি বড় হয় মা ‘বেবি’র হাতে।
অনর্থক কত নাম ফিরিস্তি তার দিচ্ছি,
শিশু নয় মাস্তান বড় সে ‘হান্নান পিচ্চি।
মোহিত করে না কভু রমণী’র মন,
খোঁজে দেখ নাম তার ‘রমণী মোহন’।
পাতলা দেহ হাড্ডিসার অতিশয় দুর্বল,
জোর নাই গায়ে তার নাম হয় ‘সুবল’।
রণক্ষেত্র দেখেনি যে নামে সে ‘সমর’,
মরিয়া প্রমাণ করে সে নহে ‘অমর,’।