আজ যদিও বেঁচে আছি
কাল হয়তো নাই,
মরার পরে ধূলো হবে
কেউবা হবে ছাই।
পৃথিবীটা পড়ে থাকবে
যেমন আছে তেমন,
আমি কেবল রইব না আর
গণনার একজন।
এই দেহ মোর ভাঙা ঘর
ভেন্নাপাতার ছানি,
টলমলে এক বিন্দু যেন
কচুপাতার পানি।
কিসের করি বাহাদুরি
কিসের অহংকার,
সুঠাম দেহ, ধন-সম্পদ
দামী অলংকার।
গুটি পায়ে এগিয়ে চলি
মরণেরও কাছে,
মৃত্যুঞ্জয়ী হবার তবে
উপায় কিছু আছে?
বড় কথা-‘বেঁচে আছি’
কতদিন, কতক্ষণ?
বন্দিশালায় আটকে থেকে
নিঃশ্বাস যতক্ষণ।
কত কাজ করতে এসে
কি করলাম শেষে?
বিধাতাই জানেন সব
দেখি হিসেব কষে।
পরিজন সব আপন হল
মমতারই টানে,
করোনা এসে শিখিয়ে দিল
জীবনের’ই মানে।
মায়ার বাঁধন ছিঁড়তে কেন
শিহরণ জাগে?
স্বভাবটা তাই বদলে ফেলি
চলে যাবার আগে!