পুরোদস্তর বাঙালি বাবু
নইকো তেমন হ্যাংলা,
সারাটাদিন মুখে মুখে
বলি প্রমিত বাংলা!
দইকে আমি ‘দধি’ বলি
দুধকে বলি ‘দুগ্ধ,’
চোখ না বলে ‘নেত্র’ বলি
শোনে সবাই মুগ্ধ!
হাত যদি ‘হস্ত’ হয়
কান তবে ‘কর্ণ,’
স্ত্রী হবে ‘অর্ধাঙ্গিনী’
রঙ হবে ‘বর্ণ।’
গরীবকে ‘দরিদ্র’ বলি
ঘুমকে বলি ‘নিদ্রা,’
মরিচকে যদি ‘লংকা’ বলি
হলুদ হবে ‘হরিদ্রা।’
বন্ধু নয়, ‘মিত্র’ সবাই
সখী হয় ‘সজনী,’
দিনকে আমি ‘দিবস’ বলি
রাতকে বলি ‘রজনী।’
চুল যদি ‘কেশ’ হয়
পা তবে ‘চরণ,’
কুত্তাকে ‘কুকুর’ বলি
মরা ‘মৃত্যুবরণ।’
ঠোঁট কে আমি ‘ওষ্ঠ’ বলি
দেহ হল ‘গাত্র,’
বুড়াকে ‘বৃদ্ধ’ বলি
গামলা হল ‘পাত্র।’
নাক যদি ‘নাসিকা’ হয়
বুক হবে ‘বক্ষ,’
মাথাকে ‘মস্তক’ বলি
পাকাকে ‘পরিপক্ক।’
বোনকে আমি ‘ভগ্নি’ বলি
ভাইকে বলি ‘ভ্রাতা,’
বাবা হলেন ‘পিতা’ আর
মা হলেন ‘মাতা।’
তরকারীকে ‘ব্যঞ্জন’ বলি
ভাতকে বলি ‘অন্ন,’
‘গ্রন্থ, পুস্তক’ যা-ই বলি
নয়তো বই ভিন্ন!