বিখ্যাত এক গ্রাম, নাম তার ধারাম,
সেথা বাস করত নন্দঘোষ।
ছিল চতুর অতি, চৌদ্দপুরুষ বসতি,
লিখত সে ছড়া শিশুতোষ।
পূর্বপুরুষ জমিদার, অঢেল সম্পদ তার,
রেখে গেছে পিতা আশুতোষ।
বাগান ভরা গাছ, পুকুর ভরা মাছ,
গোয়াল ভরা ছিল গো-মোষ।
আশুতোষের দৌহিত্র, নন্দঘোষের পুত্র,
শেষ বংশপ্রদীপ পরিতোষ।
ছিল বখাটে অতি, সংসারে না মতিগতি,
অহর্নিশ আড্ডা গল্প-খোশ।
নন্দ বড় অসহায়, করে শুধু হায় হায়,
কন্যাদান করে যতীন বোস।
দানে সম্পত্তি ভাগা, হল সোনায় সোহাগা
খুশিতে পেল মনে জোশ।
মদ্যপান-জুয়াখেলা, অর্থ উড়িয়ে চলা,
থেকে গেল সেই অমানুষ।
ছিল কত বড় ধনী, অভাবে সে হল ঋণী,
থাকে সদা মাতাল-বেহুঁশ।
অবশেষে মাঘের চৌঠা, ইহধাম ছাড়ে বৌটা,
বিধাতার চরম অসন্তোষ।
চলে গেল ভারতে, কাজ পেল আড়তে,
হয়ে গেল কেরানী ছা-পোষ।
নটেগাছটি মুড়ুলো, অনুগল্পটি ফুরুলো,
কই গেল কোথাকার মানুষ!