আটা নব্বইটি সতেজ পাতা-
ক্রমশ ভাষাহীন হয়ে বদলে ফেলে রঙ।
জীবনের ঢং ফুরিয়ে এলে পরে
রঙ মিলিয়ে যায় বিষাক্ত বাতাসে।
অনাগত দিনের পাতাবিহীন খাতা খুলে
মৃত মলাট ছুঁয়ে আমি কষে নেই গতদিনের হিসেব;
আমাদের আবাদি জমিন
জীবন্ত মাঠ
জলে ভরপুর যৌবনা ঘাট
সদা সতেজ ঠোঁট
প্রথম চুম্বন
হৃদয়ের কম্পন
মরিচা রাঙা এগোরটা আধ-শুকনো বকুল ফুল
রঙ্গীন কাগজের নৌকা; অতঃপর-
অদৃশ্য পৃষ্ঠা উল্টে পাল্টে তছনছ করি স্মৃতির সংসার।
নির্লিপ্ত চাহনিও তার দৃষ্টি হারিয়ে ফেললে-
ঘন কালো ধোঁয়ার ভেতর হতে উঁকি দেয়; মৃত মলাট।
ধীরে ডাকে, কাঁপা স্বরের কি করুণ সে ডাক! আয়-
ভারী দু পাতার মৃত মলাট ক্রমশ জেগে ওঠে-
শিরোনামে শক্ত অক্ষর-
বুকের মাঝে পদচ্ছাপ এঁকে
জাগিয়ে দেয় চিরায়ত পোক্ত প্রেম।