সুতীক্ষ্ণ চোখ নিয়ে অন্ধ তিরান্দাজের মতো দিশাহীন কেন তুমি?
তূণে পড়ে আছে আর যে ক'টা বাণ,
ছুঁড়ে মারো নিরেট আঙ্গুলের ট্রিপে!
বোকা হরিণের মতো চরে বেড়াই তোমার চোখের আঙ্গিনায়।
সুকোমল বক্ষ নিয়ে তুমি এতো কঠিন পাহাড় কেন?
সবুজ বনে ছাওয়া দেহের দেউড়িতে-
অতন্দ্র পাহারা বসাও,
হাসির ঝর্ণা ঢাকো আশ্চার্য অহংকারে!
চিবুকে স্নেহের জ্যোৎস্না রেখে তুমি এতো নিষ্ঠুর কেন?
কবিতার দুর্দিনে তোমার ওষ্ঠের কাটাদাঁগ-
বঙ্কিম চাঁদ হয়ে ওঠে সাদা পৃষ্ঠায়!
সুগভীর নাভীমূলে সুগন্ধি ফুল ফোটে,
আমাকে নিষিদ্ধ কর সেই সব রাতে-
উল্টো মার্জিন টেনে।
অতবড় খোঁপা নিয়ে তুমি এতো মেঘ পিয়াসি কেন?
খুলে দাও বাঁধণ,দেখ-
সহস্র কালবৈশাখ ফণা তোলে তোমার চুলে!