আশ্চার্য সে প্রেমিকার স্তনবৃন্ত নিঃসৃত সুধা কবিতা
অথচ আমি কবিতা লিখতে চেয়েছি বন্দুকের নলে-
মুক্তির মিছিলে,স্লোগানে!
এই শহরের ট্রাজিক হিরোদের কাছে আমি জেনেছি-
প্রেমিকা আর কবিতার অন্য মানে।
আমি কবিতার কথা বলছি,শ্রীহীন এক চাষার কথা-
পাথুরে জমিনের কথা বলছি
মৃত্তিকা তখন সরসি ছিল না।
কালো চাষার ঘাম এবং শ্রমের কথা বলছি
নষ্ট নখ নিঃসৃত রক্তে লেখা কবিতা-
সৃজনের গর্ব,শৃঙ্খলাবদ্ধ ফসলের হিল্লোল কবিতা।
কালঘুম ভাঙা সমুদ্রের গর্জন
স্বতঃস্ফুর্ত মানুষের উচ্চারণ কবিতা-
আশ্চার্য সে প্রেমিকার স্তনবৃন্ত নিঃসৃত সুধার মতন।
অথচ আমি প্রেমিকার শরীর খুঁড়ে পেয়েছি বিষ!
নিশ্বাস সমান দূরত্বে-
আমি কবিতার বদলে পেয়েছি অবিস্তীর্ণ একটি বৃক্ষ;
যার দ্বারা নির্মিত হবে কফিন,
দেখেছি সভ্যতার মণিবন্ধে লেখা সংকীর্ণতার এপিটাফ!
আমি অসভ্য অশালীন কিছু সত্যের কাছে শিখেছি;
সুশৃঙ্খল পঙক্তি নিয়েই কবিতা নয়।
ফুল,পাখি, নদীর নির্ঝরঝর -তপবনের তপস্বীর-
আদিবাস অরণ্যজাত কবিতা!
ওটা কেবল স্তোত লেখা-
ওতে দেবতা প্রসন্ন হলেও আর ফসল ফলে না
মেঘ আসে না,নদীতে বান ডাকে না।
যখন নদী ও নারীর দখলদার -সভ্য মানুষ যুদ্ধোন্মাদ,
ঈশ্বর তখন সম্ভ্রম হারিয়ে পরকিয়াগ্রস্থ!
বহুগামিতার বাইবেল লিখতে বসে;
কিবোর্ডে আঙ্গুল রেখে-
ভার্চুয়াল সঙ্গমে অজস্র যিশুর জনক!
কর্পোরেট দুনিয়ার বাজারি কবিদের কাঁধে তখন ধর্মের জোয়াল-
ক্ষুধার্ত যিশুদের ক্রুশে বিদ্ধ করা হয়!
অস্ত্র ব্যবসায়ার লভ্যাংশে ঈশ্বরের পানপাত্র ভরে রক্তে-
তখন রক্তের লাল রঙ কবিতা;
আশ্চার্য সে প্রেমিকার স্তনবৃন্ত নিঃসৃত সুধার মতোন।