যারা কবিতা লিখে জেলের ঘানি টানেনি
কারাগারের ভেতর দেখেনি অহল্যা জ্যোৎস্না
কবিতা লিখে যাদের নখ নষ্ট হয়নি-
অঙ্গহানি ঘটেনি
প্রেমিকার প্রগাঢ় চুম্বন বঞ্চিত হয়নি
পিতৃপুরুষের অভিশাপ জোটেনি
নিন্দায় নির্বাসিত হয়নি যারা
তাদেরকে কবি বলে স্বীকৃতি দিয়ো না-
কবিকে খুঁজো না পদকতালিকায়
পুরাতন পত্রিকা
অথবা পুলিশি নথিপত্রে যাদের নাম নেই-
তাদেরকে কখনো কবি বোলো না।
শুদ্ধ শব্দের প্রমিত ফসল তুলে দেয় যারা
কেবল ঋদ্ধ করে রাষ্ট্রের সাহিত্য ভাঁড়ার
তারা নেহায়েত শব্দশাস্ত্রজ্ঞ- পুরোহিত
চরম বিশ্বাসঘাতক
শাসনযন্ত্রের পোষ্য কর্মচারী
তাদের থেকে ঢের সৎ বেশ্যাপাড়ার দালাল।
শ্রমিক হত্যার পর-
কালো পিচের রাজপথে জমাট রক্ত ধুয়ে দিতে
প্রসিদ্ধ কবিরা আসে,হাসিমুখে আসে
চেটে নেয় রক্ত বীর্য
পরিচ্ছন্ন শহরের দাবি তুলে ফুল পাখির কথা বলে যায়
খাদ্য গুদামে জমে কৃষকের কঙ্কাল
কালরাত্রি ফিরে আসে পাহাড়ে
অসাম্প্রদায়িক চেতনার পর্দার আড়ালে
লুট হয়ে যায় ঘর গৃহস্থ-
দেবী দুর্গার ক্ষতবিক্ষত শরীর পড়ে থাকে মন্দিরের উঠানে
ধর্ষিতার কান্না ঢেকে দিতে যারা লিখে গেল প্রেমিকার লাল অন্তর্বাস
তার ফিতে খুলে দেখাল সুকোমল স্তনের বোটা
দ্বাদশীর জ্যোৎস্নায় শহর ভাসিয়ে
কবিতার মাদকতা ছড়াল যারা-
জ্যোৎস্না খেয়েছে রক্তের লাল রঙ
অন্ধকারের আঁতাতবদ্ধ হায়েনারা কবি?
ইদানিং কিছু সুন্দরীও কবিতা লিখছে
নরম নখে নেইলপলিশের মতো।