পাশের গ্রামেই ছিলো
শতোদ্ধ এক বটবৃক্ষ,
নাম তার হালাবটের তল..
মূল কান্ড মাটিতে হেলানো
সাথে আম,পাইকর,বকুল আবৃত
সর্বদা ছায়া সুশীতল।
পাকিস্তান আমলে,
স্থানীয় খতি ফকিরের আয়োজনে,
জৌনপুরের জৈনিক পীর সাহেব
দূর হতে এখানে এসেছিলেন
ওয়াজ করার জন্যে।
আগত লোকেরা সালাত আদায় কালে
ওজু করতে গিয়ে দেখিতে পায়,
যেটুকু পানি রয়েছে কুয়ায়
তা সকলের জন্য পর্যাপ্ত নয়।
পীর সাহেব একথা শুনিয়া
এক বদনা পানি তুলে নিয়ে হাতে,
দুরুদ কালাম পড়ে ফুঁ দিয়ে
ফেলে দিতে বললেন তাতে।
পানির অভাব রইলো না আর
মোহিত সবাই খোদার মহিমাতে।
একটু বাদেই যাচ্ছে শোনা
সবাই করছে চিন্তা ভাবনা
খিচুড়ি পরে যাবে কম!
পীর সাহেব,
হাঁড়ির ঢাকনা লাগিয়ে
দিতে বললেন দম।
খোদার রাহে নিরলে
করলো সে প্রার্থনা
খিচুড়ি সবাই পেলো
কেউ বাদ পড়লো না।
তারপর থেকে পীরের
মুরিদেরা গেলো বেড়ে,
মানা চিনা করে কোরবানি দিতে
হালা বটের তলকে পবিত্র মনে করে।
কারও কারও মনোত হয়েছে পূরণ
এ কথাও কানে আসে,
যাকে ঘিরে তারা করতো মনোত
তার কী ক্ষমতা আছে?
ঝড়ের কবলে উপরে পড়েছে
বাঁকা হয়ে গেছে শীর,
আল্লাহ ছাড়া সবাই নশ্বর
স্থায়ী নয়কো বটবৃক্ষের পীর।