ভোরের পর্ব---
কাক ডাকা কা কা ভোরে,
তোরে বড্ড মনে পড়ে ।
চারিদিকে কোথাও কেও নেই,
বিজন রাত্রির আঁধার এখনো ছেয়ে আছে চারিধার ।
শুধু কটি কাক কা কা রবে,
সারারাত জেগে আছি তোকে মনে করে ।
কেন জানি ইদানীং তোকে বড্ড বেশি মনে পড়ে,
নিদ্রা দেবী দেয় না ধরা এখন আগের মতন করে ।
একটু খানি ঝিমানি ধরা ডরমিকামের ঘোরে,
ওলটপালট অনেক হল সারাটি রাত ধরে ।
আজান শুনে উঠি এবার আড়মোড়ার পরে,
পা বাড়াই একপা দুপা মসজিদের তরে ।
সকাল বোধহয় হয়েই গেল স্বপ্ন গেলে উড়ে,
সারাটি রাত পরে ছিলাম তোর বুকের পরে ।
কল্পনারই ঘোরে অলীক সব ভাবনা গুলো ছিল মাথা ভরে,
তোরে বড্ড মনে পড়ে ইদানীং অনেক বেশি করে ।
নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে,
মাথার ভেতর কেমন জানি কিলবিলিয়ে ওঠে ।
ভাবনাগুলো মনে আসে কবিতাই ছলে,
খুঁজে বেড়াই কাগজ কলম কিছু লিখব বলে ।
ভোরের বেলায় খালি রাস্তায়, কাগজ কলম কে বয়ে যায় ।
মনের জমা কথাগুলো আকুলবিকুল করে, বিড়বিড়িয়ে কথা বলি নিজের মনের সাথে ।
পথের সাথে পা মিলিয়ে চলার ফাঁকে ফাঁকে,
উড়িয়ে দিতে যন্ত্রণা এই মনে যত আসে ।
কাগজ ছাড়া কাব্য লিখি চিড়বিড়িয়ে দাঁতে,
বাতাসেতে উড়িয়ে দেই হাওয়ার সাথে সাথে ।
হঠাৎ দেখা অল্প কিছু নিশি কন্যার সাথে,
ফিরছে বাড়ি সারা রাতের নষ্ট কাজের শেষে ।
বিড়বিড়ানি তারাও শোনে পাগল ভাবে আমায়,
ফকির কিংবা পাগল ভেবে অবাক চোখে চায় ।
আলতো করে পাগল থেকে দূরে সরে যায়, বোঝে না তো বিড়বিড়ানি কিসের যন্ত্রণায় ।
কি বলব বল? তোরে বড্ড মনে হায়, কবিতারা মাথা কুটে আমার মাথা খায় । আপন মনে আউড়ে চলি আছে যা মনের ভেতরে,
নিঃসরিত কথা মাথা গুলো বের কষ্টে, কবিতার আকারে ।
ভোরের পাখিগুলো কিচিরমিচির করে আমার মাথার ওপরে,
তারাও আমায় পাগল ভাবে মাথার ওপরে দেয় ঠুকরে ।
ঠিক তোরই মতন করে, যেন খুবলে নেবে উপরে,
ভাবিসনি যেমন তুই ঠোকর দেবার কালে ।
খেলার পুতুল ভেবেছিলি,খেলেছিলি ছলে, একটু ভাবিস মানুষ আমি, আমারও হৃদয় পোড়ে ।
রক্তাক্ত হৃদয়ে পথ হেটে চলি ভোরের আধো-অন্ধকারে,
হয়নি সাধন লালনেরও সারাটি রাত ভজে ।
কেমনে হবে তোরই সাধন একটি রাতের খোঁজে?
প্রেমের ভজন কত ভাবে সাইজি গেয়ে যায়,
তোর উপেক্ষায় কাব্যগাঁথা মনে বিড়বিড়ায় ।।