চেয়ে দেখ আমার শরীরের দিকে।
কি কিছু দেখতে পাচ্ছিস?
সেকি কিছুই দেখছিস না!
হুম বুঝতে পেরেছি,
দেখবি কেমন করে,
দেখার মতো চোখ কি তোদের আছে?
তোরা তো আজ দু চোখ বন্ধ করে ইয়া নফছি,
ইয়া নফছি করতেই ব্যস্ত।হবেই না বা কেন।
তোদের চোখ দুটো কে তো সেই কবেই বন্ধক রেখেছিস অন্যের কাছে।
অবশ্য মহাজনী বন্ধকী ব্যবসা বিলুপ্ত হলেও
তোদের চোখ দুটো বন্ধক রাখার মতো মহাজনের অভাব নেই।
দেখ দেখ!
আরে দেখ না?
দেখ আমার সমস্ত শরীরে কেমন লাল আভা।
যেমন লাল আভায় আচ্ছাদিত ছিলো
৭১ সালের তোদের মা বোনের শরীর!
হানাদার শকুনেরা তোদের মা বোনের শরীর রঞ্জিত করেছিলো।
তাদের নাম রেখেছিলি তোরা শহিদ।
আমার শরীর কি
তাদের চাইতে কম রঞ্জিত হয়েছে বল?
তো, তোরা আমার নাম কি দিবি বলে ঠিক করেছিস?
নাকি নামটি খুজেই পাচ্ছিস না।
নাকি আমাকে তোদের কাছে নগ্ন এক ধর্ষিতা হয়েই থাকতে হবে।
আমার স্তন, উরু,সহ অনেক কিছুই তো
ছিঁড়ে খেলো ওরা।
আমাকে কি পাশবিক নির্যাতন টাই না করে হত্যা করলো ওরা।
তোরা কি দেখেছিস আমার সেই রক্তাক্ত নগ্ন দেহ?
ও! বুঝেছি খবরের কাগজ,
আর টিভির খবর শুনেই তোরা রাস্তায় নেমেছিস তাই না?.
কিন্তু, বিশ্বাস কর একবার,
শুধু একবার আমার ক্ষত-বিক্ষত নগ্ন দেহটা যদি দেখতি!
তবে বুঝতে পারতি কতোটা যন্ত্রনা
সহ্য করে আমাকে যেতে হয়েছে।
তোরা তো অনেক উপাধি দিতে পারিস,
আমার জন্য কি কিছু রেখেছিস,
নাকি দু তিন দিন চেঁচামেচি করেই ক্ষান্ত দিবি।
আর আমি হারিয়ে যাবো চিরতরে
ঠিক ফেলানি,ইয়াছমিন দের মতো।