ধমকা হাওয়া লাগল গায়ে
শুকনো পাতা যাচ্ছে উড়ে
আলগা ধুলো ধোঁয়া হয়ে
যাচ্ছে উড়ে তেপান্তরে।
এমনি কেন বইছে হাওয়া
ওমা! উত্তরে পড়েছে কালো মেঘের ছায়া।
একটু আগে ছিল গরম - এখন
শীতে কাঁপছে ছোট 'পরান।
আয় চলে আায় তোরা সবাই
বাড়ি চলে আায়। ফুলকলির মা
উঠল কেঁদে ফুলকলি কোথায়?
এদিক ছুটি ওদিক ছুটি বলি সবাইরে
তোমরা কেহ দেখছ নাকি ছোট ফুলকলিরে?
বাড়ল আরো ঝড়ো বাতাস
গাছের ডাল ভেঙে যায় শব্দ করে ঠাস ঠাস।
আকাশ ফেটে বিদ্যুৎ চমকায়
বৃষ্টি পড়ে ভারী
সবার মাঝে নেমে এলো
কান্নার আহাজারি।
দেখা হলো শম্পার সাথে
ফুলকলিরে দেখছ নাকি তুমি?
ঝড়ের আগে খেলেছিল
ফুলকলি আর টমি।
যেথায় ছিল সাদা ধুলা
এখন সেথায় পানি।
ব্যাভো বলে ব্যাঙ ডাকছে
গাছের ডালে টুনি।
এইতো আহে এছাকের মা
গরু-ছাগল নিয়া;
দেখছ নাকি ফুলকলিরে?
কওনা মন দিয়া।
কাঁপতে কাঁপতে বলল 'উনি
ফুলকলি তো খাচের নিচে।
সাথে দেখছি ছাগির ছানা
ফুলকলি তার পিছেপিছে।
ছাগির ছানা আনতে গেছে
ফুলকলি ঝড়ের আগে'
কাল বৈশাখী ঝড় করবে এমন
জানতো না কেউ আগে।
বৃষ্টি ভেজা পাটের ক্ষেত
কাঁপছে ছোট শিয়াল ছানা:
খোচের নিচে অথৈই পানি
হাঁস নাড়ছে তার দুটি ডানা।
দৃষ্টি জুড়ে বৃষ্টির পানি
কোথাও নাই ফুলকলি!
ছাগল ছানা দেখলেও তো
দৌঁড়ে সেথায় খোঁজ করি।
আমি এখন নইতো একা
সবাই এসেছে চলে।
খোঁজছে সবাই ফুলকলিরে
পাব কোথায় গেলে?
যা নয় চাওয়া, তা-ই হলো পাওয়া
হঠাৎ মিলল ফুলকলি;
একি দেখলাম, বুক পুরালাম
সবি এখন খালি।
ফুলকলি আর ছাগল ছানা
দু'জন ছিল পাশাপাশি ;
বন্ধু দু'জন ছিল বটে
বোধহয় দু'জন একই রাশি।
মা এলো,বাবা এলো
এলো পাড়ার সবাই;
ফুলকলি আর নেই দুনিয়ায়
শেষ ঘুমানো ঘুমাই।
এমন যেন হয় না আর
কারো জীবনে-
বৈশাখী ঝড় এমন করে
বৈশাখ এলে পড়ে মনে।