তারিখ : ২৮/০৫/২০২১

  স্পর্শতা

      
তুমি দেখো ,
একদিন আমি মিলিয়ে যাবো,
ঐ দূর নীল আকাশে।
সেদিন তুমি আর
আমাকে স্পর্শ করতে পারবে না,
তোমার ঐ কম্পিত হস্ত দ্বারা ।।

কারণ আমি যে ,বড্ড ভালোবাসি ;
ঐ সাত আসমানের তারা ।
যার অফুরন্ত আলোর কাছে ,
তোমার ভালোবাসা আজ নগণ্য।
তবে তুমি হেরে যাও, নি ...
ঐ সাত আসমানের হাজারো তারার
মাঝে হারিয়ে ফেলেছো ,
তোমার অন্ধকারটাকে ।
তাই তো বলি ,
দেখো-
একদিন আমি অন্ধকার হয়ে যাবো ।
সেদিন তুমি আর
আমাকে স্পর্শ করতে পারবে না ,
তোমার ঐ কম্পিত চক্ষু দ্বারা ।।

যার নীরবতা আর স্তব্ধতা আজ,
তোমাকে ঘিরে ।
তাকে -
তুমি আর কতোটুকুই বা
আলো দিবে ?
তাঁর হাসি,খুশি আর চাঞ্চল্যতা,
মুখে মধু মিশ্রিত সেই ভাষা ,
আজ বধির ।
তাই তো বলি
দেখো -
একদিন আমি বাকশূণ্য হয়ে যাবো,
ঐ দূর পাহাড়  থেকে বিচ্ছিন্ন
এক খণ্ড পাথরের মতো।
সেদিন তুমি আর
আমাকে বাক ফিরিয়ে দিতে পারবে না ,
তোমার ঐ কম্পিত ওষ্ঠ দ্বারা ।।

শুকিয়ে যাওয়া ফুল,
বৃক্ষের অগ্রে থেকে ভাবে !
একদিন হয়তোবা সে,
ভ্রমরের সংস্পর্শে আসবে ।
আর এই আশায়
সে বুক বাঁধে ।
কিন্তু তার সম্ভাবনা যে
অনেক আগেই হারিয়ে ফেলেছে...
সেটা ভুলে যায়।
ভুলে যায়  আজ সে
মধুহীন , মৃত ।
সে ভুলে যায় ,
বৃক্ষে শুকিয়ে যাওয়া ফুলের থেকে,
ঝরে যাওয়া ফুলটাও যে উত্তম ।
কারণ সে ফুল হয়তোবা
কারো পায়ে আশ্রিত হবে ।
তাই তো বলি
দেখো-
একদিন আমি ঝরা ফুলের মতো ঝরে যাবো,
ঐ বৃক্ষের দূর অগ্র থেকে।
সেদিন তুমি আর
আমাকে স্পর্শ করতে পারবে না ,
ঐ কম্পিত কালো ভ্রমর হয়েও ।।

সমুদ্রের স্বচ্ছতা
তার নীরবতায় প্রকাশ পায়,
প্রকাশ পায়  স্তব্ধতায়,
আর ঐ শান্ত সমুদ্র
তার ভালোবাসার বহিঃ প্রকাশ ।
ঐ শান্ত তোয়ধির কাছে,
তোমার ভালোবাসা আজ ,
অতি নগণ্য ।
সময়ের ব্যবধানে
পয়োধির উত্তাল উত্তেজনা
যখন বৃদ্ধি পায় ,
তখন তৈরি হয় ঘৃণা ।
হয়ে পরে  ভালোবাসা হীন ,
আবেগ হীন,
উন্মাদ।
সকল ক্লেশ নিয়ে
আছড়ে পড়ে কোন এক পাড়ে ।
তখন তার থেকে ভয়ংকর ,
আর কে বা হতে পারে ?
তাই তো বলি ,
দেখো -
একদিন আমি পারাবার হয়ে যাবো।
ঐ দূর তটে দাঁড়িয়ে থেকে ,
সেদিন তুমি আর
আমাকে স্পর্শ করতে পারবে না,
তোমার এ ভালোবাসাহীন কম্পিত বক্ষ দ্বারা ।।


শুধুমাত্র পারবে,
বৃথা -
দাঁড়িয়ে থাকতে,
কাক তাড়ুয়া হয়ে ।।

                    উত্তম মন্ডল