দুটো সাদা পায়রা
ছাঁদে ডাকাডাকি।
একটি নীল রঙের ছাঁদ,
আর একটি লাল রঙের,
নিচে দাড়িয়ে অপেক্ষার প্রহর।
সে রান্না করে,
এরপর সাজুকাজু।
তার সৌন্দর্যের মহিমা,
আমার সংক্ষিপ্ত প্রহর।
মাঝে মাঝে ট্রেনের প্যাপু
সময় জানিয়ে দেয়,
বলে সে আসচ্ছে,
আর কিছু ক্ষণ বাকি।

আজ জীবনের নতুন সন্ধিক্ষণ হবে,
ভাবি নি।
পুরাতন ছেড়ে নতুন জীবন,
একটু দেরি আর একটু অপেক্ষা,
তার প্রতি কৌতুহল।
সামনে আসলে কি বলে সম্বোধন?
অবশেষে অবসান।
জিন্স আর কালো গেঞ্জি,
ব্রাউন চাদর  আর দুল,
মাথায় ক্লিপ, নীল রঙের  ব্যান্ড,
ঠোঁটে একটু খানি লিপস্টিক
আর দূর থেকেই মিষ্টি হাসি।

এরপর কিছু সময় চুপচাপ হাঁটা ।
রিকশাওয়ালার ডাক,
রিক্সাতে চরতে চরতে,
একটি ফোনে দিয়ে
বলল এটা তোর।
একটি গান,
তারপর দুজনের কানে হেডফোন,
নির্বাক হয়ে গান শুনা।
গানটা খুব ভালোই লাগলো!
শীতের কনকেনে বাতাসে,
দুজনের উষ্ণতার অভাব,
গানটি বেশ জমলো।
সাহসহীন মন কাছে একটু ঘেঁষে বসা,
তারপর একটি লাল গোলাপ  হাতে,
বললাম এটা তোর জন্য।
বিরক্তির ছাপ চোখে,
এটা ঠিক না।
পরক্ষনেই  বললো
থ্যাংস।
বললাম-
তোর হেডফোন গিফ্ট
আর আমার  লাল গোলাপ!

এরপর ভার্সিটির কাজ,
ঘোরাঘুরি, টংয়ের  ঠান্ডা চা আর ছবি তোলা।
এরপর আবার শহর
আর একগাদা ফ্রেন্ড।
প্যরিস প্রাঙ্গন,
জেলাপ্রশাসক কার্যালয়ে আড্ডা।
মাঝে মাঝে তার দিকে তাকানো,
আর বন্ধুদের বিদায়।

কিন্তু রয়ে যাওয়া
ইচ্ছে নদী।
তাকে নিয়ে আবার ঘোরা,
পুরো শহর,
একটি রিক্সায়,
কিছুটা কাছাকাছি,
তারপর হাতটি চাওয়া,
কিন্তু  অভিমান।
ক্ষণিকের পর,
শীতের কনকনে হাওয়া,
শরীর ঠান্ডা নিস্তেজ।
শীতল হাওয়ার মাঝে,
তার হাতটি,
গরম করার আবদার।

আমার হাটু কাঁপা।
শরীর আরো ঠাণ্ডা হওয়া,
গলা শুকিয়ে কাঠ।
এরপর কিছু না বলে,
কম্পিত হস্তে,
চোখের দিকে না তাকিয়ে,
হাতটি গরম করার ব্যার্থ চেষ্টা।
সত্যিই নাকি আমি ব্যার্থ।।
প্রথম বার তার হাত ধরা,
ব্যার্থ তো হতেই হবে,
গরম না করাটাও অপরাধ।
তাই রিকসা থেকে নামা,
এরপর  বিদায়ের বেলায়,
তার হাত ধরে থামনো।
একটু কাছে যাওয়া,
তার চোখ বন্ধ হওয়া,,
একটু ভীতু হওয়া।
এরপর বলল কি করছিস?
কিছু না।
আমার পিছে আসা,
তার  প্রস্থান।