আঠারো দিনের জীবন
কলিতে গড়া মোর।
নতুনো সংসার।।
প্রমদার ভীতু হয়ে পদার্পণ তাহায়।।
নতুন জামানায় পরে।
নাকিচুকি করে।।
দেখিয়া সুজনের মুখ ভাবিলো বনিতা।
ঐমুখের দিকে সে তাকিয়ে থাকিবে।।
সারাটি জীবন তাহার,
কাটিয়ে দিবে।।
সংসার সমুদ্রে তাই দিয়েছিলো ডুব।।
বাঁচিয়া তুলিবে যে, হাতেরও আশে,
সেহাতের আশাতে আজ তলিয়ে যাইবে ।।
জানিতো না রমনি তাহা,
রইয়াছিলো যে,
সে হাতেরও রইয়ছিলো,
অন্য হাতের টান।।
যদিও সে , অন্য তরি
কে তুলিবে তাহাকে?
একটি নয় তিন তিনটি তরিরও শিকল।
সে শিকলে বাঁধিয়াছে নুতনও তরণী।।
চতুর্থ তরিতে শিকল পরিয়া সে জন।
আনিবে অন্য তরি কে জানিবে তাহা।।
দুদিনেই জানিয়াছিলো, সে রমনি তাহা।।
চুপিসরে, সম্মান রক্ষায়
মনে মনে কাঁদে।।
সংসার সমুদ্রে সে
ডুববিয়া মরে।।
তখনো আঠারো দিনের
বাকি আরো কিছু।
আবার উঠিয়াছে জেগে অন্য সং কিছু ।
রক্ষা করিবে তাহাকে, কে সে জন ?
রক্ষা করিবে যে, সে জনের হাত ।।
সেই হাত হারিয়েছে যে,
দ্বিতীয় দিনে।।
সংদের অভিযোগে।
কপালেতে হাত।।
রমনির দুঃখ আবর।
বাড়িবে তাহাত।।
আমি কালো, আমি ধূসর করিয়া নিন্দা।।
ভালো রন্ধন পারি না, তাহা অভিযোগে।।
আসলে সে নয় তাহা।।
বাপেরও টাকা,ধনদৌলত
কিছুতো নাহি যে আমাত।।
বাড়ির কর্ম,ঝাড়ু উঠান ও আসবাব
থালাবাসন সবি যেন করিয়া ঝনঝন।।
মাঠে ধান, আছে পাট
কাজ অবিরাম।।
সব কাজেই রয়েছে লাজ
ঠনা ঠনঠন।।
এসব জেনেও আমায় রাখিয়া সে জন।।
আজন্মের ঐ পাপ করিয়াছে বরন।।
সত্যই এটা যে, আপনও সত্তা।।
সেই সত্তার মাঝেই তাহার,
হাত টান জানা।।
আমারি পাপ সেটা আমি,কেনই বা যে জানি?
দোষ গুলো তাহার আমি, কেনই বা যে ধরি ??
আমারি ভুল তাহা, আমি সে যে জানি।।
খানিক সময়ে কেন পরিচিত হয়ে,
মুখোশ ধারি লোকের,কবলেতে পরি।।
আত্মীয় স্বজনের মুখ রাখিবার তরে।
সংসার সাজিয়ে নেবো ভবিয়াছি আমি।।
চোখেরও বারি বর্ষন থামিয়েছি আমি।।
আঠারো দিনে তাই,ছাড়িয়াছি আমি।।
উত্তম মন্ডল
লেখা খুলনায়।