তুমি আসিবে বলে; হে প্রিয়,
আজো আমি পশ্চিমার পানে
পথ চেয়ে বসে আছি।
তুমি আসিবে বলে।
আজো পূর্ণিমা রাতে
জোনাক পোকারা বাঁশ ঝাড়ে
উড়ে বেড়ায়।
তুমি আসিবে বলে,
হে প্রিয়;
আজো নিকশ কালো রাত্রির
আঁধার শেষে সূর্য মেঘের কোলেতে হাসে।
তুমি আসবে বলেই তো,
আজো গোলাপের ডালে
কলি আসে, গোলাপ ফোঁটে।
উঠোনের আনাচে কানাচে
গোলাপের সুবাস ঘুরে বেড়ায়,
তারা খুঁজে ফেরে তোমায়
তুমি আসিবে বলে; হে প্রিয়!

তুমি আসিবে বলে,
আজো শীতের-ঘন-কুয়াশা
শেষে বসন্ত আসে,
আসে কৃষ্ণচূড়া আর সোনালু'র -
গাছে গুচ্ছ গুচ্ছ ফুল।
তুমি'ই আসিবে বলে।
অতঃপর বসন্ত শেষে
তারা চলে যায়; জিজ্ঞেস করে যায়,
কতটা কাল হয়ে গেলো
দেখা মেলেনি আজো তার,
আসবে কখন সে?
কখন ঘটবে মোদের অপেক্ষার অবসান?

বসন্ত শেষে যখন গ্রীষ্মের আনন্দে,
গাছে-গাছে গন্ধরাজ আর ভৃঙ্গরাজের মেলা বসে।
উঠোন জুড়ে যখন রজনীগন্ধার সুবাস ঘুড়ে বেড়ায়,
তখন তারা আমায় জিজ্ঞেস করে,
কখন আসবে প্রিয়?
কখন আসবে?

অতঃপর যখন সকল ঋতু শেষে চলে যায়,
যখন গোলাপের পাপড়ি ঝড়ে যায়,
যখন গন্ধরাজের সুবাস বাতাসে মিলিয়ে যায়,
তখন তারা আমায় বলে যায়;
বলে যায় কোনো মলিন স্বরে-
যদি কোনোকালে আর না আসি আমরা,
আর তখন সে এসে পরে।
বলে দিয়ো তাকে,
গভীর আগ্রহে যেনো দীর্ঘ নিশ্বাস আনে;
দেখিবে পরের বসন্তে চলে আসবো
কোনো এক গোধূলি লগ্নে,
আনন্দে-উল্লাসে মেতে উঠবো
তোমার উঠোনের দ্বারে।


২২ আষাঢ় ১৪৩১বঙ্গাব্দ
৬ই জুলাই ২০২৪ইং
১২:১৭ রাত