সে বহুদিন হলো অদৃশ্য এক ছায়ার মতো মিলিয়ে গেছে,  
সময়ের পরতে পরতে জমে থাকা ধুলোয়  
তার অস্তিত্বের স্পর্শ যেনো আজও অমলিন।  

তাকে ভালোবাসতে বারণ করেছিল,  
তার নাম উচ্চারণ করাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে জেনেছিলাম,  
তবু নীরবতার গহীনে প্রতিটি নিঃশ্বাসে  
তারই নাম খোদাই হয়ে থাকে।  

সে আপন করেছিল,  
ঠিক যেন এক প্রজাপতির মতো—  
এক মুহূর্তের জন্য হাতের মুঠোয় ধরা দিলো,  
তারপর রঙিন পাখা মেলে উড়ে গেল,  
যেন আমি ছিলাম শুধুই এক ক্ষণস্থায়ী শ্বাসরেখা,  
যার অস্তিত্বের মূল্য নেই কোনো কালেই।  

সে যখন দূরত্বের সীমানা টেনে দিলো,
তখনও শূন্যতার গভীরে তার ছায়া রয়ে গেল,  
যেন নির্জন নিশীথে বয়ে চলা বাতাসের দীর্ঘশ্বাস।  

সে বলেছিল, তাকে ভুলে যেতে হবে,  
কিন্তু কীভাবে?  
এ প্রশ্নের সে কোনো উত্তরই রেখে  যায়নি।  

সে বলেনি—  
রক্তে মিশে থাকা ভালোবাসার রং কি সময়ের তাপে ফিকে হয়ে যায়?  
সে বলে যায়নি—  
স্মৃতির অলিন্দে আটকে থাকা প্রতিধ্বনিগুলো  
কি সত্যিই নৈঃশব্দ্যে হারিয়ে যায়?  

সে চলে গেছে,  
তবে যেতে যেতে হৃদয়ের দরজায়  
তারই নাম লিখে রেখে গেছে।  
সে বিস্মৃত হয়েছে,  
কিন্তু আমি এখনো প্রতীক্ষার দেয়ালে খোদাই করে রেখেছি—  
ভুলে যাওয়ার পথ সে আমাকে দেখিয়ে যায়নি।



১৮ই জানুয়ারি ২০২৫ইং
৪ই মাঘ ১৪৩১বঙ্গাব্দ
রাত ০৮:১৭