ভালোবাসার যত কথা বলেছি,
তার কি কোনো শেষ আছে?  
প্রতি নিশীথে তোমার স্মৃতির সুর বাজে;
বিরহের অশ্রু ঝরে নীরবে,  
তবুও কি তোমায় ভালোবাসার গল্প ফুরায়?  

আমার কলমের কালি ক্ষয়ে গেছে
তোমার নাম লিখিতে লিখিতে,  
তবু কি তোমার গভীরতা মাপা যায়?  
তুমি কি কেবলই স্মৃতির ছায়া
নাকি এক চিরন্তন আলো;    হৃদয়ের গভীরে?  

তুমি ছিলে আমার, তবু আমার হলে না,  
কাছেই ছিলে, অথচ দূরত্ব মুছল না,  
তোমার রূপ, তোমার কোমলতা,  
তোমার ব্যক্তিত্বের অপার মহিমা—  

তুমি কি কেবলই দৃষ্টির ভ্রম,  
নাকি অন্তরের এক চিরস্থায়ী ব্যথা?  
তোমাকে ছুঁতে চেয়েও ছুঁতে পারিনি,  
তোমার অস্তিত্বকে অনুভব করেও,  
তোমার স্পর্শের অধিকার পায়নি।  

তুমি কি জানো, কেমন লাগে সে যন্ত্রণা?  
যখন ভালোবাসা হয় গভীর সমুদ্র
কিন্তু নোঙর ফেলবার উপকূল থাকে না।
যখন হৃদয়ের আকাশে মেঘ জমে,  
কিন্তু বৃষ্টি হয় না, শুধুই বজ্রধ্বনি বাজে?  

এইটুকুতেই কি শেষ?  
এতটুকুই তার পরিচয়, এতটাই কি সে সাধারণ?  
তাকে যত লিখবে, খাতার পৃষ্ঠা শেষ হবে,  
কলমের কালি শুকিয়ে যাবে, তবু—  
তার সৌন্দর্যের গল্প, তার মহিমার কথা,  
শেষ হবে না…কখনোই না!  

যতো দিন যাবে;
ততোই বাড়বে তাকে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা,  
কিন্তু সে তো আমার নয়?  
তাকে কি আমি কোনো কালেই পাবো না?  
নাকি এ ভালোবাসা শুধুই এক অসমাপ্ত অধ্যায়,  
যেখানে অপেক্ষাই একমাত্র সত্য…?  

হয়তো সে দূরের এক নক্ষত্র,  
যার আলো ছুঁয়ে যায়, কিন্তু কাছে আসে না।  
হয়তো সে ভালোবাসার এক অপূর্ণ কবিতা,  
যার শেষ পংক্তি লেখা হয়নি কখনো।  
তবে কি এ ব্যথা নিয়েই আমাকে বেঁচে থাকতে হবে?  
তবে কি তার নামই হবে আমার একমাত্র পরিচয়?


৩১শে মার্চ ২০২৫ইং
১৭-ই ফাল্গুন ১৪৩১বঙ্গাব্দ
১২:৩২রাত