হৃদয়ে এক অগণন বেদনা; অপ্রকাশিত,  
যতটা নীরব ততটাই তীব্র।
অন্তরের অতল গহ্বরে বিক্ষিপ্ত,  
তবু মুখে একটিও শব্দ নেই।

তুমি আমার অস্তিত্বের অঙ্কন,  
তবুও অদৃশ্য, অন্তরের সুরে নিরুদ্দেশ,  
এক পানে একত্রিত নিঃশব্দ সংকেত,  
আমার যন্ত্রণা তুমি উপলব্ধি করো না যে।

প্রতিটি দৃষ্টি এক অপূর্ণ সমীক্ষা,  
চোখের কোণে যে আঁধার রাশি।  
তার আভাসে নিরন্তর উদ্ভাসিত
একক প্রেরণার অমোচনীয় ক্ষত।

তুমি হাস, পৃথিবী ভুলে যাই,  
আমার হৃদয়ে এক লুকানো অগ্নি,  
যার অগ্নিকুণ্ডের তাপে একাকীত্বে ভস্ম,  
তবুও চুপ রই, প্রকাশ করি না কিছুই।

অস্তিত্বে তুমি এক বিকল্প আশ্রয়,  
তবু আমাকে স্বীকৃতির অভাব,  
তোমার হাসির শব্দ যেন মৃত,  
শব্দহীন একদিন হারিয়ে যাওয়া স্পর্শ।

এভাবে চলে যায় দিনরাত্রি,  
মৃতপ্রায় ভালোবাসার জোয়ার,  
একপেশে ছুটে চলা এই কষ্টের শাখায়,  
ধ্বংসের ভিতরে রয়ে যায় প্রশান্তির উল্কি।

যতই আগাই, উল্টে ফিরে যাই,  
নিরন্তর অপেক্ষায় অমোঘ অনুভূতি,  
কোনো দুঃখ-কাহিনীতে গাঁথা,  
একপেশে ভালোবাসার মর্মান্তিক নিঃশব্দ বেদনা।

কীভাবে বলি যে, আমি এতটাই পরাভূত?  
শব্দে নেই কোনো গূঢ় প্রকাশ,  
এই একপেশে ভালোবাসার গোপন যন্ত্রণা,  
যা চিরকাল আমার হৃদয়ে গভীরভাবে রয়ে যায়।
এ যে এক বিরহের অনন্ত ক্রান্তি, আমি জানি না ঐ পথ।


১০ই মার্চ ২০২৪ইং
২৫শে ফাল্গুন ১৪৩১বঙ্গাব্দ
রাত ১২:৪৪