হায় হতভাগা আমি যদি হইতে পারিতাম বাদল।
আকাশের ওই নীল বর্ণের মাঝে সাদা রঙের এক ভেলা হয়ে পাড়ি দিতাম কত দূর দুরান্তের পথ।
তখন আমার থাকিতো না কোনো ধরনের কোনো-                                    
                                                                      বাঁধা।
কতশত শহর কতশত দেশ ঘুড়িয়া বেড়াতাম আমি,
আমার মাঝে লুকিয়ে থাকা শতকালের শত শোক,
বৃষ্টির বেশে ঝড়িয়ে দিতাম তাদের মাঝে।
শত শত জাতির শত শত গোত্রের বেঁচে থাকার-          
                                    একমাত্র কারণ হতাম আমি।
ক্ষনেকের পরে ক্ষণিক কৃষক ক্ষেত্রে কাজ করিয়া যখন হইতো ক্লান্ত-
                           তখন আমায় স্মরণ করতো-
                                                             হয়ে তৃষ্ণার্ত,
তখন যেখানেই থাকিতাম যেথাকার যেই দেশে
ওমনি করেই ছুটে আসিতাম ওই কৃষকের কাছে,
আমার বুকেতে জমা থাকা মায়ার সে জলে,
                 তার তৃষ্ণা মেটাই আমি-
                                                    বড়ই আদর করে।
জেলে যখন দুপুর বেলায় যাইতো নদীর বুকে,
           ফেলিতো ছিপ ধড়িত মাছ তীব্র সূর্যের কালে।
তখন সে আমায় স্মরণ করিতো হায় -
                                 এইখানাতে গাছ নাই ছায়া নাই
                                               কেমনে ক্লান্তি মেটাই?
তখনি আমি আসিতাম তার কাছে,
সূর্যি আর তাহার মাঝে - থাকিতাম ছাউনি হয়ে।
থাকিতাম ততক্ষণ যতক্ষণ না হার -
                                       মানিত সূর্যি আমার কাছে।
অবশেষে সন্ধ্যা হইতে লাগিলে সূর্যি যাবার কালে,
আমি আবার যাইতাম তখন অন্য কোনো দেশে।




কাব্যগ্রন্থ - পাখিজাতি
প্রভাত ৯:৩৭
১৫ই জানিয়ারি ২০২৪
১ই মাঘ ১৪৩০বঙ্গাব্দ