তারপর দুঃখিত চোঁখে সাভাবিক ভাবেই বল্লু,
কি যেন বলছিলাম আপনাকে?
আমি বল্লুম যশোর আপনার আপু থাকে।
সে দির্ঘ শাষ ফেলে বল্লু, ও হ্যা!
আমার ভাইয়া মেলেটারিতে চাকরি করে।
সেই সকালে যায় আর মাঝ রাতে আসে।
কোন দিন আসেও না, আটকিয়ে গেলে কাজে।
আপুটা সারাখন ঘরের কোনে একলা বসে থাকে।
আমি যদি থাকি তার পাসে,
তবে তার সময়টা কাটে আনন্দে।
তাই আমি বেশির ভাগ সময় থাকি তার কাছে ।
কি আজব মেয়েটা,
এমন ভাবে দমে দমে বলছে কথা।
আমি যেন তার পূর্বে চেনা ।
আমি সুধু মাথা নাড়িয়ে দিয়ে যায় সাড়া ।
হঠাৎ মেয়েটা নিয়ে একটু লজ্জা,
বল্লু, এই যা!
আমিতো সুধু বলেই গেলাম,
আপনিতো কিছুই বল্লেন না ।
আমি নম্র ভাবে নরম সরে বল্লুম,কি বল্লব!
কিছুই বুঝতে পারছিনা।
মেয়েটা মেয়েটা মিষ্টি হেসে বল্লু আচ্ছা,
আপনার নামটাতো জানা হলোনা?
আমি বাদাম ভরা কাগজটা বাড়িয়ে দিয়ে
একটু ভংগিমা নিয়ে বল্লুম, এই যা!
আমি একাই খায়তেছি,আপনি নেন না!
সে লাফ দিয়ে উঠে বল্লু
না না, আমি খাবনা, আপনিই খান্না!
আমি একটু ভঙ্গিমা নিয়ে বল্লুম
ক্যা-নেন, আপনার পেটের সমেস্যা,
না কি বাসা থেকে মানা ?
সে একটু কর্কষ সুরে বল্লু,
এর মানেটা কি, বুঝলাম না?
আমি বল্লুম না তেমন কিছুনা,
আমি বাসা থেকে আসবার কালে,
আমার মা বাবা আমার মাথায় হাত রেখে বলে,
পথে অপরিচিত লোকের দেওয়া কিছু দিও না যেন মুখে।
তাই ভাবছিলাম,
আপনিও হয়তোবা মেনে চলছেন গুরুজনেদের কথা।
মেয়েটা আমার হাত থেকে বাদাম নিয়ে
হাসির ছলে বল্লু কথা,
বুঝতে পেরেছি,আমাকে না খাওয়ায়ে ছাড়বেন না।
হঠাৎ থেমে গেল রুপসা।
বুঝলাম কোঁটচাদপুর জংশন এটা।
শুরু হলো কোলাহল আর যাত্রি ওঠা নামা।
আমি ও গুছিয়ে নিলাম জিনিসপত্র আছে যা।
সে একটু আবেগ নিয়ে বল্লু,
আপনি কি এখানেই নেমে যাবেন?
আমি মিষ্টি হেসে বল্লাম না,
ছামনের ইষ্টিশনে নামার প্রোস্তুতি এটা।
সে যেন গভির নিঃশ্বাষ ফেলে বল্লু ও আচ্ছা!
ঝকঝক রুপসা শনশন বাতাসের বেহায়াপানা।
তার মায়া মায়া মুখ আর হৃদয় কাড়া ভঙ্গিমা।
তাকে যত বার দেখছি ততোই বাড়ে দেখার নেশা।
একি আর্কষন তার রুপে,আমি য়ে পাগল পারা।
সে যেন হাজার বছরের চেনা।
হাজার বছরের তৃষনার এক ফোটা জলের ছোয়া।
সে আমি চোঁখা চোঁখি চেয়ে আছি
একত্র মনের সব ব্যাকুলতা,
দুজনায় হারিয়েছি মুখের ভাষা।
চোঁখরের মনিতে খেলা করে,
হৃদয়ের যত তৃষ্ণাত্তক ভালবাসা।
এরি মাঝে মুবাকরগজ্ঞে এসে পৌছালো রুপসা।
দুজনার এক আকাশ হয়ে এলো মেঘলা।
বুজে এলো দুচোঁখের পাতা,
তবুও চোঁখ সরাতে পারলামনা ।
কি বলবো,কোথায় আমার আবেগময়ি ভাষা?
রুপসা থেকে নামার পর মেয়েটা দরজায় এসে বল্লু, আমি ইথিলা।
আমি ব্যাস্তার মাঝে নামটা বলার সময় পেলুমনা।
তবে অনেক দুর থেকে চিল্লায়ে বল্লুম আমি শ্রাবন।
জানিনা সে শুনেছে কি না?
যত দুর দেখা যায়, সে দাড়িয়ে ছিল দরজায়।
তারপর কারনে অকারনে প্রতি সপ্তার এই দিনে,
এই রুপসার যাত্রি হয়ে শত ভিরের মাঝে
আমি খুঁজে যায় তাকে।
প্রতিদিন আসি বুক ভরা আশা নিয়ে,
মনে ভাবি আজ হয়তো পাবো তাকে ।
কিন্তু না! এভাবেই ফিরে যেতে হয় হতাশা কুড়িয়ে।