উচ্চশিক্ষার মান নিম্নগামী
তাতে কার কি আসে যায়!
চাকরি থাকলেই সব ঠিক।
পদ পদবীতে অগ্ৰগামীতা
রাজনৈতিক আনুগত্যের মাপকাঠিতে
উত্তীর্ণ হওয়াটাই এখন যোগ্যতার ভিত্তি।
বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি হয়, বড় বড় ভবন
আর বয়োজ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের কথার ফুলঝুরি
সর্বত্রই প্রতিধ্বনিত হয়ে ইট পাথরের দেয়ালে
সজোরে লাগে। পলেস্তারা খসে পড়ে হঠাৎ।
তবুও আর বিদ্যা ঝরে পড়ে না।

গবেষণার জন্য অর্থ নাই, অর্থ জুটলেও গবেষক নাই।
গবেষণায় সবার মন নাই। রাজনীতিই এখন সর্বেসর্বা।
শ্রেণি কক্ষে মাস্টার মশাই একাই একশ, মান্ধাতার যুগের
শ্বেত শুভ্র থেকে লোহিতে রূপান্তরিত সেই লেকচার পত্র,
আজও তাদের জ্ঞান বিমুখতার সাক্ষী।
শিক্ষার্থীদের তাতে মনোনিবেশ করার আর আগ্ৰহ নাই।
দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এখন সবই হয় শুধু
শিক্ষার শনির দশাটাই আর কাটতে চায় না।
প্রাচ্যের অক্সফোর্ড আর ক্যামব্রিজ এখন শীতনিদ্রায়,
তাতে চাকরি করনেওয়ালা পন্ডিনগনের হুঁশ ফেরা দায়।

ছেলে, মেয়ে, আর বৌ জামাই
দুহাত ভরে করছে কামাই।
পরের ছেলেমেয়ে নিয়ে আর কার কি আসে যায়!
সান্ধ্য কোর্স, আর নামসর্বস্ব সনদ বাণিজ্য এখন
মাস্টার মশাইদের পোয়াবারো, তাতে কারও কিছু
আসে যায় না।
এদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এখন সবই হয় শুধু
শিক্ষার গুনগত মান তলানিতেই রয়ে যায়।

০৬ জানুয়ারি ২০২২, রাজশাহী।