লজ্জার দেয়ালটা টপকানো জানতে হয়
মুখের লাগাম খুলে একটু বেসামাল বাকপটু হতে হয়
জানতে হয় কীভাবে মরু সাহারায় জলোচ্ছ্বাস সৃষ্টির
এক দুর্দান্ত কাব্য রচিত হয়।
জানতে হয় কীভাবে পদ্মার চরে চোখ ঝলসানো সিলিকা
দিয়ে হিরক মালা গাঁথা হয়।
জানতে হয় কীভাবে মরা কপোতাক্ষে সুবিশাল টাইটানিক
ভাসানোর কাহিনী রটানো হয়।
জানতে হয় কীভাবে গোবর গনেশদের গলায় সনদ পরিয়ে
জাতির কর্ণধার বানানো হয়‌।

শিখতে হয় কীভাবে রাতের ভেতরে দিন ঢুকিয়ে মসনদ
হাসিলের মতলব আঁটতে হয়।
বুঝতে হয় কীভাবে তেলের মালিশে পাদুকা পালিশে
ভাগ্য চাকা সচল হয়।
কীভাবে মনিবের চোখে মুখে শব্দ বালি ছিটিয়ে
উপরের সিঁড়িতে উঠে বসতে হয়,
জানতে হয় সহসা নিম্নচাপে সৃষ্ট বৃষ্টিতে কৌশলী
ছাতাটি কোন দিকে ধরতে হয়।
বঙ্গদেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে থাকা পীর
দরবেশের মৌসুমী মুরীদ হতে হয়।

সফলতা এখানে ভাগ্যগুনে মোসাহেবদের হস্তে
নিজে নিজে এসে ধরা দেয়।
এদেশে সফলতার কাহিনী বেহায়া কুশীলবদের
ইশারায় ব্যর্থদের নামে রচিত হয়।
এখানকার আকাশ বড়ই ছদ্মবেশী চতুর অতিশয়
সাদা মেঘে রঙিন বৃষ্টির বন্যা বয়।

৮ অক্টোবর, ২০২১, রংপুর