শিক্ষকের গলায় জুটেছে জুতার মালা
তাতে আতকে ওঠার কি কিছু আছে!
যে দেশে প্রকৃত শিক্ষার আলোক রশ্মি
কষ্মিনকালেও পতিত হয়নি, যেখানে
জ্ঞান অর্জনের প্রকৃত উদ্দেশ্য অজ্ঞাত,
শুধুমাত্র জীবন রাঙানোর অযুহাতে
মুখস্থ বিদ্যার বদৌলতে ,চাকরি হাশিল
কিংবা সনদ দেখিয়ে ধান্দাবাজি ও
রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তি করাটাই মুখ্য।
সেখানে শিক্ষা গুরুর গলায় পুষ্পের মালা
তো বড়ই বেখাপ্পা, বেমানান!
এদেশে শিক্ষকতার মুল উদ্দেশ্য কি?
রাজনৈতিক প্রভাব ও পদ পদবী লাভ,
অর্থ উপার্জনের অসুস্থ প্রতিযোগিতা।
সন্মান লাভ তো আর এমনি হয় না!
আগেকার দিনে, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ শিক্ষকদের
দরবারে রোজ আসত দোয়া ও দিকনির্দেশনা নিতে
জ্ঞান ও প্রজ্ঞার আধার শিক্ষাগুরুর সামনে
নেতা, পাতি নেতা সালাম, প্রণাম ঠুকত সন্মানে।
অথচ এই জামানায় এসে হঠাৎ গনেশ গেছে উল্টে!
শিক্ষকদের পান্ডিত্য লাভের ধ্যান ধারণা গেছে পাল্টে।
সবাই ব্যস্ত পেছনের কৌশলী দরজার চৌকাঠ পেরিয়ে
নিয়ম নীতিকে পাশ কাটিয়ে পদ পদবী নিতে বাগিয়ে।
পুঁজিবাদী সমাজে সন্মান প্রাপ্তির মাপকাঠিই যখন পুঁজি
তবে জুতার সাথে অসম্মানের অযথা কারণ কেন খুঁজি?
স্বপ্নীল ঘোড়ার গাড়িতে চড়ার উদ্দেশ্যে অর্জিত শিক্ষা
কখনও কি দিতে প্রকৃত মুক্তি ও সন্মান লাভের দীক্ষা?
২০ জুলাই ২০২২, রংপুর।