কিসের লাগিয়া গো সখী
প্রাণটা আজ জ্বলিয়া যায়।
কার বিহনে এই ফাগুনে
চারিদিকে শুধু অনল দেখি।
কে ডাকে মোরে রুদ্ধস্বরে
হৃদ মাজারের শ্রান্ত স্রোসে।
কিসের ঢেউ বয়ে যায়!
অবিরত মোর ভুবনজুড়ে।
কিসের এত অনল দহনে,
কলিজা জুড়ে নীলবেদনা!
কিসের তাপে মন মন্দির
আজ ঝলসে ওঠে সন্তাপে।
কেন গো সখি এত মর্মপীড়া
কিসের লাগি পুষ্প শুকায়!
বসন্তের এমন নব উন্মাদনায়
হিম রক্তস্রোতের বন্ধ ক্রিয়া।
কেন গো এমন নিরব শীতলতা
বাসনা জাগে উষ্ণ আলিঙ্গনের।
শূন্য লাগে অপরাহ্ণের তপোবনে
তুমি বিহনে চিত্তে নিঠুর স্থবিরতা।
তুমিহীনা দাড়িয়ে আমি গঙ্গাপাড়ে
ক্লান্ত সূর্য পশ্চিমাকাশে অস্তাচলে।
তোমার স্মৃতি বিজড়িত পদরেখা
অনুসরণে কেন আজ দুঃখ বাড়ে!
কেন গো শ্যাম বালিকা তুমি বিহনে
একলা গগন আমার অশ্রূ বিলাসী।
পৌষ সংক্রান্তি লগ্নে শূন্য পুষ্পোদ্যান
একফোঁটা দাও কোমল অনল এ ফাগুনে।
৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, আব্দুলপুর, নাটোর।