মাহারানী দ্রৌপদীকে হস্তিনাপুরের রাজ সভায়-
দুর্যোধনেরা উল্লাসিত, শ্লীলতাহানি করার চেষ্টায় ।
দুর্মতি দুর্যোধনের, আদেশ পেয়ে দুঃশাসন
উম্মাদ হয়ে করতে এলো, দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ।
যজ্ঞসেনী করজোড়ে সবার নিকট চাইলো সাহায্য
নিজ ধর্মে বন্দি তখন- ভীষ্ম, বিদুর, দ্রোণাচার্য।
পঞ্চস্বামী তার মহাবীর কেউ বাঁচাতে আসলো না;
দ্রৌপদীর আর্তনাদে, শকুনির ছলনা থামলো না।
অসহায় এক নারীর ব্যাথা কুরুরাজ বুঝলোনা
সভাভত্তি পুরুষ সকল, দ্রৌপদীর সহায় কেউ হলোনা।
আঁচল ধরে টানলো যখন, অসুরের মত দুঃশাসন
হাসছিলো দুর্যোধনেরা, খুলতে দেখে নারীর ভূষণ।
জঘন্য সব উল্লাস বাক্য... ধর্ষকদের মুখে মুখে
বজ্রসম অপমান, আঘাত হানলো দ্রৌপদীর বুকে।
ধর্মান্ধ হয়ে যুধিষ্ঠির রইলো তখন দু'চোখ মুদে
তারি সামনে সহধর্মীণি তার, চরম বিপদে ।
দুহাত তুলে বললো দ্রৌপদী,হে গোবিন্দ তুমি কোথাই
নরপশুদের হাত থেকে; রক্ষা করো সখা আমাই।
ভক্তের ডাকে দ্বারকা থেকে,চোখের পলকে কৃষ্ণ এসে
দ্রৌপদীর লাজ রক্ষা করে, অন্ধরাজার সমাবেশে।
দুঃশাসন টেনে-কাপড়, শ্রান্ত হয়ে রইলো পড়ে
কৃষ্ণ যারে রক্ষা করে; কার সাধ্য তার ক্ষতি করে।