জয়িতা,
নতুন জুতাপড়া মানুষেরা কেমন থাকে জানি
আমিও শঙ্খের মতো ভালো আছি সন্ধ্যার বাতাসে-
সকালে অফিস যাই
দলছুট পাখীর মতো ফিরি সন্ধ্যায়
পাখির তো নীড় আছে আমার আছে কী?সে জিজ্ঞাসা অস্তিত্বে বারবার
কিন্তু বিবেকের মৌণতা দেখে আমার কষ্ট হয়।

আচ্ছা!সেদিনের কথা কি মনে আছে তোমার?
বসন্ত শেষে আম পাকা কোন এক হলুদ বিকেলে
দেখা হয়েছিল তোমার আমার দারুন অবেলায়
আড্ডা,গল্প,গানে আস্ত একটা বিকেল কী করে হয়েগেল এক চিলতে সময়।
অত:পর..........
সন্ধ্যায় ল্যাম্প পোষ্টের নির্বাক আলোয়
দুই প্রান্তের দুটি মানুষ একপথে একসাথে
যেন দুটি মোহনার একই স্রোত।
তারপর... তারপর..............
প্রায়... তিনহাজার ঘন্টা
কতো হেটেছি পৃথিবীর প্রান্তে
কাঠের পেন্সিলে কত্তো স্বপ্ন একেছি সময়ের আচলে
অশ্রুকে সমর্পন করেছি সমুদ্রের বুকে
বাতাসের বাহনে কাছাকাছি থেকেছি সারাক্ষণ
মুঠোফোনের যান্ত্রিক কী-প্যাড কতবার যে গা ছেড়ে দিয়েছে
রাত ও কান্ত হয়ে ঘুমিয়ে গেছে
পাড়ার ছেচড়া চোর গুলো মুখ কালো করে দু:চিন্তায় বিভোর
আগামী হা-ভাতের সম্ভবনায়।
সবই চলছিল ঠিকঠাক-
সাদা গোলাপ গুলো পাপড়ী মেলত,দোয়েলরা শিস দিত
জোনাকি ঝারবাতি জ্বালাতো,বাদুরেরা ঠিকাদারি করতো
ডাহুকেরা পাহারা দিত,চকিদারি করতো পেচা
নৈ:শব্দের সিড়ি বেয়ে আকাশের কোনে মোমবাতি জ্বালাতো অজস্র তারা।
হঠাৎ......
ঝড় বলবো না। হালকা হাওয়া লাগল তোমার পালে
কোথা থেকে উড়ে এলো একটা লাল শাড়ী তোমার উঠোনে।
সামিয়ানার মতো ঢেকে নিল আমাদের আকাশ
সমূদ্র থেকে তুমি ফিরিয়ে নিলে জল
সময়ের সাথে সাথে হালকা হাওয়া তীব্র হলো
আমার বুকের নীল রক্তে তোমার সাদা হাত লাল হলো
প্রচন্ড শিলা বৃষ্টিতে ধূয়ে মুছে গেল কাঠের পেন্সিলে আকা স্বপ্ন
দু‌’মড়ে মুচড়ে গেল সাজানো বাগান
শাড়ীর আঘাত এতো তীব্র জানা ছিলনা
একটি সত্ত্বাকে অনায়াসে দু’ভাগ করতে পারে
তুলতে পারে বিভেদের দেয়াল,মুছতে পারেনা বুকের ফাটল।

এখন,
দিনযাপনের বারান্দায় ঝুলে থাকে কিছু চেনা সময়
ভালো না লাগা মহুর্ত গুলো মেঘ হয়ে ভাসে অচেনা আকাশে
তোমার পৃথিবীতে আলো দেয় অন্য চাদ
আমার জোছনারা বৃষ্টিতে বিলীন
পাথর ও কথা বলে নিরবে
নৈ:শব্দে গর্জে ওঠে পুরনো অতীত
তোমার ছুয়ে দেয়া ঠোটে হররোজ চুমু খায় নিকোটিন।
    ২৮-০৫-২০১৬