(০১)
শরতের ছড়া
-বিচিত্র কুমার

ষড়ঋতুর ছয়টি মেয়ে
একটি শরৎ কাল,
নীল আকাশে উড়ে দিলো
সাদা মেঘের পাল।

ওই উড়ে যায় ওই উড়ে যায়
সাদা মেঘের পরী,
প্রজাপতির ইচ্ছে হলো
পাখনা মেলে উড়ি।

শিউলি হাসে শাপলা হাসে
হাসে বকের সারি,
বনে বনে খেলছে দুলে
কাশফুল বাড়ি।

(০২)
শরৎ করে খেলা
-বিচিত্র কুমার

সাদা মেঘের লুকোচুরি
শরৎ করে খেলা,
নীল আকাশে উড়ে চলে
সাদা বকের মেলা।

শঙ্খচিলের ঘুরেফিরে
কেটে যায় দিন,
ফড়িং ছানা উড়ে উড়ে
নাচে তা তা ধিন।

গাছে গাছে রাশিরাশি
হরেক ফুল ফুটে,
সাদা সাদা প্রজাপতি
আনন্দে ওই ছুটে।

মাঠ পেরিয়ে পল্লীগাঁয়ে
শরৎ রূপের মেলা,
হেসে খেলে শুভ্র শরৎ
কাটায় সারা বেলা।

(০৩)
শরৎ আসে
-বিচিত্র কুমার

মেঘের ভেলায় শরৎ আসে
সাদা সাদা চুল,
সাদা বক পথ হারিয়ে
করেছে মনের ভুল।

বিলের ধারে নদীর তীরে
দুলছে কাশের বন,
শাপলা ফুলের পরশ পেয়ে
মাতাল তার মন।

উরুউরু প্রজাপতির
মন মাতানো সুখ,
শিউলি ফোটা সকালবেলা
চাঁদের মতো মুখ।

কী অপরূপ শরৎ রানী
সেজেগুজে রয়!
উতাল হাওয়া ফুরফুরিয়ে
মেঘের দেশে বয়।

(০৪)
শরৎ রানী ও শুভ্রশরৎ
-বিচিত্র কুমার

শরৎ রানী,
খিলখিলিয়ে বললো হাসে
পাওনি ফুলের চিঠি?
হরেকরকম ফুল দিয়েছি
হাসছে কুটিকুটি।

কেমন ছেলে তুমি শরৎ
রয়েছো একা একা?
কাশ বনেতে যাওনা নাকি
হতো মনের কথা।

শুভ্রশরৎ,
না না আমি যাই না কোথাও
ওগো শরৎ রানী?
বইয়ের পাতায় পড়েছি কতো
রঙের কাহিনী।

সাদা সাদা মেঘেবালিকা
উড়ে বেড়ায় মেকি,
দুষ্ট তারা ভীষণ পাজি
দূর থেকে দেখি।

(০৫)
শরৎ এলে
-বিচিত্র কুমার

শরৎ এলে সাদা মেঘ
নীল আকাশে ভাসে,
নদীর তীরে বিলের ধারে
কাশ ফুলেরা হাসে।

সাদা সাদা বকের সারি
কলকলিয়ে উড়ে,
ঝিলমিলে রৌদ্র নাচে
ঘুঘু ডাকে দূরে।

শরৎ এলে শাখায় শাখায়
হরেক ফুল ফুটে,
ফুরফুরিয়ে প্রজাপতি
যায় শুধু ছুটে।

নামঃ বিচিত্র কুমার
গ্রামঃ খিহালী পশ্চিম পাড়া
পোস্টঃ আলতাফনগর
থানাঃ দুপচাঁচিয়া
জেলাঃ বগুড়া
দেশঃ বাংলাদেশ
মোবাইলঃ 01739872753