১. জেগে ওঠার দেশ - বিচিত্র কুমার
বাংলাদেশ, তুমি যেন ঘুমন্ত সিংহের গর্জন,
যার প্রতিধ্বনি আকাশের সীমা ভেঙে ছুটে যায় দূরে।
তুমি নদীর মতো নীরব অথচ গভীর,
যার প্রতিটি স্রোতে মিশে আছে সংগ্রামের ইতিহাস।
তুমি যেন দিগন্তে জ্বলে ওঠা সূর্যের শিখা,
যা অন্ধকারের বুক চিরে আলোর পথ তৈরি করে।
তোমার ভূমি হলো মুক্তি-যোদ্ধার কান্নার রং,
যা জোয়ারের মতো ছড়িয়ে পড়েছে সবুজ শ্যামল প্রকৃতিতে।
তুমি সেতারের মতো মায়াবী,
যার প্রতিটি তারে বাজে স্বাধীনতার গান।
তোমার আকাশ যেন মুক্ত পায়রার ডানা,
যেখানে প্রতিটি স্পন্দনে লেখা আছে বিজয়ের কাব্য।
তুমি ধানখেতের হাসি, তোমার মাটি হলো শক্তি,
যা হাজার বছরের সংগ্রামের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
তুমি পাহাড়ের মতো অটল, তুমি বটবৃক্ষের ছায়া,
যার তলে লুকিয়ে আছে ত্যাগের গল্প।
তুমি ঝড়ের মতো অপ্রতিরোধ্য,
যে শত্রুর দুর্গ গুঁড়িয়ে দিতে জানে।
তোমার প্রতিটি শ্বাস যেন একেকটি বিজয়ের শ্লোগান,
যা উচ্চারিত হয় যুগে যুগে, ইতিহাসের পাতায়।
---
২. রক্তে আঁকা স্বাধীনতা - বিচিত্র কুমার
তোমার মাটি যেন রক্তিম গোধূলি,
যা লাল হয়ে উঠেছে শহীদদের তাজা রক্তে।
তোমার আকাশ যেন যুদ্ধের শেষে শান্তির বারতা,
যেখানে সাদা মেঘগুলো উড়ে বেড়ায় মুক্তির প্রতীক হয়ে।
তুমি যেন বজ্রের শব্দ, যা ঘুমন্ত বুকে জাগায় সাহস।
তুমি নদীর বুকে ভাসমান প্রদীপ,
যা অন্ধকারে দিশা দেয় আলোর।
তোমার ধানখেত সোনার মতো উজ্জ্বল,
যেখানে শ্রমিকের ঘামে লেখা হয় জীবনের গান।
তোমার নদীগুলো যেন অশ্রুধারা,
যা বয়ে আনে স্মৃতির ছায়া আর ত্যাগের কাহিনি।
তুমি যেন মায়ের চোখের অশ্রু,
যা এক হাতে শোক আর অন্য হাতে আশার প্রদীপ।
তুমি অরণ্যের গর্জন, তুমি পাখির গান,
তুমি শিশুদের খিলখিল হাসি, যা বলে “আমরা মুক্ত!”
তুমি সংগ্রামের দোলনা, তুমি বিজয়ের কীর্তন,
তোমার নামেই লেখা হয়েছে সাহসের মহাকাব্য।
---
৩. স্বপ্নের জন্মভূমি - বিচিত্র কুমার
বাংলাদেশ, তুমি যেন নক্ষত্রখচিত রাতের আকাশ,
যার প্রতিটি তারা একটি স্বপ্নের প্রতীক।
তুমি ধূসর মেঘের বুক চিরে বের হওয়া রোদ,
যা জীবনের অন্ধকারে আনে আলোর পরশ।
তোমার মাঠগুলো যেন সোনার প্রান্তর,
যার প্রতিটি গন্ধে মিশে আছে শ্রম আর শান্তি।
তুমি যেন বজ্রের ধ্বনি,
যা শোষণের শৃঙ্খল ছিন্ন করে দেয় এক নিমিষে।
তুমি নদীর মতো শান্ত অথচ প্রবাহমান,
যার প্রতিটি ঢেউ বয়ে আনে ঐক্যের বার্তা।
তুমি মাটির গন্ধ, তুমি শিশিরের পরশ,
তোমার প্রতিটি শ্বাসে মিশে আছে মুক্তির উচ্ছ্বাস।
তুমি গ্রাম বাংলার সোঁদা মাটি,
যেখানে সংগ্রামের রক্তে রঙিন হয়ে আছে প্রতিটি ধূলিকণা।
তুমি সেই শালিক পাখি,
যার কণ্ঠে বাজে স্বাধীনতার গান।
তোমার প্রতিটি ঘাস যেন একেকটি কাব্য,
যার প্রতিটি শব্দে লেখা আছে বিজয়ের সুর।
---
৪. বিজয়ের প্রতিচ্ছবি - বিচিত্র কুমার
তোমার পতাকা হলো আকাশের সবুজ ঢেউ,
যার লাল সূর্য জানায় সংগ্রামের অনন্ত কথা।
তুমি বিজয়ের সিঁড়ি,
যার প্রতিটি ধাপে আঁকা আছে ত্যাগের চিহ্ন।
তোমার নদীগুলো হলো একেকটি সুরের মিছিল,
যার প্রতিটি ঢেউ বয়ে আনে সাহসের গল্প।
তুমি মাঠের মেঠো সুর, তুমি গ্রামের পথের ধূলি,
তোমার প্রতিটি স্পর্শে মিশে আছে মায়ার চাদর।
তুমি যেন পাহাড়ের প্রতিধ্বনি,
যা শত্রুর কানে গিয়ে বলে, “আমরা অমর!”
তুমি সেই ফুল, যার সুবাসে মুছে যায় যন্ত্রণা,
তুমি সেই ঝরাপাতা, যা সংগ্রামের মাটিতে লিখে যায় স্মৃতি।
তোমার প্রতিটি মানুষ যেন একটি প্রদীপ,
যারা জ্বলে আলো ছড়ায় বিজয়ের পথে।
তুমি সেই গানের পঙ্ক্তি,
যা হৃদয়ের গভীরে বাজে অবিরাম।
তুমি বিজয়ের ছায়াপথ, তুমি জাগরণের গান,
তুমি সবুজ আর লালের মায়াবী জ্যোৎস্না।
---
৫. তোমার প্রতি প্রণাম - বিচিত্র কুমার
বাংলাদেশ, তুমি যেন মায়ের মমতার স্পর্শ,
যার ছোঁয়ায় দূর হয় সব ক্লান্তি।
তুমি সেই সাগরের ঢেউ,
যা সাহস জোগায় নতুন দিনের পথে।
তুমি বটবৃক্ষের শিকড়, যা অটল থাকে প্রতিকূলতায়।
তুমি রাতের শেষ প্রদীপ,
যা অন্ধকারে জ্বলে শুধু আলোর জন্য।
তুমি কোকিলের গান,
যা বলে দেয় বসন্ত এসে গেছে।
তুমি মাঠের খেলার সুর,
যেখানে ছুটে বেড়ায় হাজারো স্বপ্ন।
তুমি সেই শহীদের রক্তের লালিমা,
যা চিরকাল মুক্তির ইতিহাস লিখে যায়।
তুমি ভোরের শিশিরবিন্দু,
যা নতুন দিনের সম্ভাবনার প্রতীক।
তুমি এক অনন্ত শক্তি, এক অটল আশা,
যার প্রতিটি ধূলিকণা জানায়—"আমরা বিজয়ী।"
৬. বিজয়ের ভোর- বিচিত্র কুমার
বিজয়ের ভোর যেন রক্তে রাঙা সূর্যের আলো,
যা মুক্তির মশাল হাতে তুলে দেয় আশার বার্তা।
এই দিনের খুশি হলো ফসলভরা ক্ষেতের মতো,
যার প্রতিটি শীষে জেগে আছে সংগ্রামের গান।
যে গান বয়ে আনে মুক্ত বাতাস,
যা হৃদয়ের জমাট বাধা কষ্টকে করে দেয় হালকা।
আমাদের পতাকা হলো বটগাছের ছায়া,
যা ক্লান্ত মুক্তিযোদ্ধাদের দিচ্ছে বিশ্রামের শান্তি।
এটি যেন গ্রীষ্মের প্রখর রোদে এক ফোঁটা বৃষ্টি,
যা তৃষ্ণার্ত মাটিকে পূর্ণ করে জীবনের শীতলতায়।
বিজয়ের গান হলো নদীর কলকল ধ্বনি,
যা স্রোতের মতো ছড়িয়ে দেয় প্রাণের উৎসব।
এই ভোর আমাদের নতুন দিনের প্রতিশ্রুতি,
যার প্রতিটি মুহূর্তে লেখা থাকে বীরত্বের গাঁথা।
---
৭. শহীদের স্মৃতি- বিচিত্র কুমার
শহীদের রক্ত হলো মাটির গভীর শিকড়,
যা আমাদের স্বাধীনতার গাছকে করেছে অটল।
তাদের ত্যাগ হলো গ্রীষ্মের প্রথম বৃষ্টি,
যা ধুয়ে দেয় আমাদের ভয়ের জঞ্জাল।
তাদের রক্তের প্রতিটি ফোঁটা হলো মুক্তির প্রদীপ,
যা জ্বলে থাকে সময়ের সাথে, নিঃশব্দে।
তাদের নাম হলো চাঁদের জ্যোৎস্না,
যা রাতের আঁধারে পথ দেখায় দিশেহারা প্রাণকে।
তাদের গল্প হলো পাখির কুহু ডাক,
যা প্রতিদিন ভোরে শোনায় নতুন আশার বার্তা।
তারা আছে আমাদের প্রতিটি শ্বাসে,
যেন জলপ্রপাতের নীচে থাকা পাথরের মতো।
তাদের স্মৃতির প্রতিটি রঙে মিশে আছে সংগ্রামের চিহ্ন,
যা আমাদের করে তোলে আরও দৃঢ়, আরও সাহসী।
---
৮. পতাকার ডাক- বিচিত্র কুমার
পতাকার সবুজ হলো গ্রামের মেঠোপথ,
যেখানে জীবনের ছন্দে জেগে থাকে আশা।
লাল রং হলো সূর্যাস্তের আভা,
যা দিনের শেষে মনে করায় তাদের সাহস।
এই পতাকার প্রতিটি রঙ যেন মুক্তির প্রতীক,
যা হৃদয়ের প্রতিটি কোণায় জাগিয়ে তোলে গৌরব।
পতাকার ডাকে জেগে উঠে হৃদয়ের বীণা,
যার সুরে মিশে যায় স্বাধীনতার আকাশ।
এটি যেন ঝড়ের মাঝে আলোর এক কণা,
যা পথ দেখায় দিশেহারা স্বপ্নকে।
পতাকা হলো বিজয়ের মশাল,
যা প্রজ্বলিত করে বাঙালির আত্মা।
এটি আমাদের সম্মানের প্রতীক,
যা ইতিহাসের প্রতিটি পাতায় জ্বলজ্বল করে।
---
৯. বিজয়ের গল্প- বিচিত্র কুমার
বিজয়ের গল্প হলো শিশুদের মুখের হাসি,
যেখানে খুঁজে পাই আনন্দের নিখুঁত আভা।
এই দিনের জয় হলো পাহাড়ের দৃঢ়তা,
যা দাঁড়িয়ে থাকে ঝড়ের বিপরীতে।
এই গল্পে মিশে আছে শীতের কুয়াশার ভোর,
যেখানে প্রতিটি শ্বাসে লেখা থাকে নতুন জীবনের ইঙ্গিত।
বিজয়ের চেতনা হলো গগনের মেঘ,
যা ধীরে ধীরে ছড়িয়ে দেয় শান্তির বার্তা।
তাদের ত্যাগ হলো শুকনো পাতার উপর ভোরের শিশির,
যা জীবনকে করে শীতল, করে সজীব।
বিজয় হলো ফুলের মুকুট,
যা আমাদের মাথায় পরিয়ে দেয় গৌরব।
এই গল্পের প্রতিটি পৃষ্ঠা বুনে রেখেছে সাহস,
যা বাঙালির হৃদয়ে স্থায়ী হয়ে গেছে চিরকাল।
---
১০. স্বাধীনতার আকাশ- বিচিত্র কুমার
স্বাধীনতার আকাশ হলো পাখির ডানা,
যা মুক্ত বাতাসে ছড়িয়ে দেয় উড়ানের আনন্দ।
এই আকাশে বিজয়ের তারা হলো ঝিকিমিকি আলো,
যা আলোকিত করে পথহারা জীবন।
স্বাধীনতার মাটি হলো মায়ের আঁচল,
যেখানে প্রতিটি শ্বাসে মিশে আছে ভালোবাসার গন্ধ।
স্বাধীনতার গান হলো পুষ্পিত গাছের মৌমাছি,
যার গুঞ্জনে জেগে ওঠে প্রাণের স্পন্দন।
বিজয় হলো সমুদ্রের ঢেউ,
যা গর্জে উঠে সাহসের বার্তা দেয়।
এই আকাশ আমাদের প্রতিশ্রুতির চাদর,
যা ঢেকে রাখে আমাদের সব দুঃখ ও শোক।
স্বাধীনতার প্রতিটি মুহূর্তে মিশে আছে এক সূর্যোদয়,
যা আমাদের চোখে জ্বালিয়ে রাখে নবপ্রাণ।
দুপচাঁচিয়া,বগুড়া।